সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা হীরাবেনের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়ে নিজের জন্মদিনে ‘নমামি দেবী নর্মদা’ প্রকল্পের সূচনা করতে গেলেন ৬৯-এ পা দেওয়া নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ভোর ছ’টা নাগাদ গুজরাটের রাইসিন গ্রামে মায়ের হাতে পায়েস খেয়েই কেওডিয়া গ্রামে নর্মদা নদীর উপর সর্দার সরোবর বাঁধ এলাকায় পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মন্ত্রোচ্চারণ করে জল পুজো করেন তিনি। ঘুরে দেখেন ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তির চারদিক ঘিরে তৈরি হওয়া প্রজাপতি বাগান, একতা নার্সারি, ক্যাকটাস বাগান, খলবানি ইকো টুরিজম-সহ বিভিন্ন এলাকা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ও রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁধ থেকে নর্মদার জল ছাড়া প্রসঙ্গে মোদি ভাষণে বলেন, “অনেকে ভাবেন, উন্নয়ন হলে প্রকতি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয়, প্রকৃতিকে রক্ষা করেও উন্নয়ন সম্ভব। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ কেভাডিয়া। প্রকৃতি আমাদের ভীষণ প্রিয়। এই বাঁধ তৈরির ফলে উপকৃত হয়েছেন গুজরাটের কৃষকরা। আগে জলের জন্য বহু দূর যেতে হত। এখন গুজরাটে ১৯ লক্ষ হেক্টর জমি ক্ষুদ্রসেচের আওতায় এসেছে। তার জন্য ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। এবার সর্দার প্যাটেলের বাঁধ পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। আর কখনও এখানে জলের জন্য আন্দোলন হবে না। গুলি চলবে না। ১১ মাসে ২৩ লক্ষের বেশি পর্যটক এখানে এসেছেন। গুজরাটে যুবকদের আয়ের সংস্থান বেড়েছে। এই বাঁধের ফলে গুজরাতের পাশাপাশি উপকৃত হবে গুজরাত, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রও।”
এদিন দেশজুড়ে মোদির জন্মদিন সেলিব্রেট করছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ৭০০ ফুটের কেক তৈরি হয়েছে সুরাটে। ৬৯ ফুট কেক কেটে বিলি হয়েছে ভোপালে। দিল্লি গেটের সামনে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে বিশাল লাড্ডু ও কেক কেটে মোদির জন্মদিন পালন করেছেন সমর্থকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.