সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে তিন কৃষি আইন (Farm Law) প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করা শুরু করে বিরোধী শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা। আক্রমণের ঝাঁজ সবচেয়ে বেশি ছিল রাহুল-প্রিয়াঙ্কার (Rahul Gandhi, Priyanka Gandhi) মতো কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের গলায়। পিছিয়ে নেই পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিও (Charanjit Singh Channi)। চান্নির বক্তব্য, কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। উত্তরপ্রদেশের সভা থেকে যাবতীয় সমালোচনার পাল্টা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। বলেন, কিছু রাজনৈতিক দলের লক্ষ্যই হল, কীভাবে কৃষকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে রাখা যায়!
শুক্রবার উত্তর প্রদেশের মাহোবার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবার তন্ত্রের দলগুলি কৃষকদের দাবি দাওয়া, চাহিদা পূরণ করতে চায় না।” মোদির মতে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করছে বিরোধীরা। বলেন, “সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করে কিছু রাজনৈতিক দল। আমরা সমাধানের রাজনীতি করি। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারপরই আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি।” কারও নাম না করলেও প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারই ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রধানমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, “পরিবারতান্ত্রিক দলের সরকার কৃষকদের সমস্যার মধ্যে রেখে দিতে চায়। তারা কৃষকদের নামে শুধু ঘোষণা করে। বাস্তবে সেই ঘোষণার সামান্য অংশও কৃষকদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির মাধ্যমে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।”
একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এই দাবি করেন, তখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির প্রশ্ন, কেন দেরি করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? প্রধানমন্ত্রী আগেই যদি এই সিদ্ধান্ত নিতেন বহু কৃষকের মৃত্যু এড়ানো যেত। তাঁর আরও দাবি, বিজেপি সরকার কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিক। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পাঞ্জাব সরকারকেও। কারণ কৃষক আন্দোলন চলাকালীন বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের, যেহেতু পাঞ্জাবের কৃষকেরা এই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.