সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শপথ নিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারলে তবেই পা রাখবেন অযোধ্যায়। ২৯ বছরের অপেক্ষার পর নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Mod)। নিজের প্রতি নিজের এই অঙ্গীকার পূরণের জন্য বহু পরিশ্রম করতে হয়েছে। এর মধ্যে রাম মন্দির (Ram Mandir) আন্দোলনে বহু মানুষের প্রাণও গিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন সফল হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আজ তাঁর হাত দিয়েই স্থাপিত হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর।
শেষবার যখন মোদি অযোধ্যায় পা রেখেছিলেন তখনও তিনি বিজেপির নিচুতলার নেতা। লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর জোশীদের মতো প্রথম সারির নেতাদের নেতৃত্বে চলছে রাম মন্দির আন্দোলন। সালটা ১৯৯১। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন মুরলী মনোহর জোশীর (Murli Manohar Joshi) তিরঙ্গা ঐক্য যাত্রার সামান্য কনভেনার মাত্র। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে তিরঙ্গা যাত্রা করেছিলেন জোশী। নরেন্দ্র মোদি সেই যাত্রার আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন। সেই যাত্রারই অংশ হিসেবে অযোধ্যা যান মোদি। অযোধ্যার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেসময়ই মোদিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আবার কবে অযোধ্যা যাবেন তিনি। সে প্রশ্নের জবাবে নাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন,”যদি কোনওদিন রাম মন্দির নির্মাণ হয়, তবেই অযোধ্যায় আসব।”
তারপর কেটে গিয়েছে ২৯ বছর। বুধবার ফের অযোধ্যার পবিত্র ভূমিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে অন্য রূপে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। মজার কথা হল, মোদি এমন একটা দিনে অযোধ্যায় পা রাখলেন, যে দিনটা কিনা কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তির দিন। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়েই তৈরি হল ইতিহাস। পাঁচ শতকের লড়াইয়ের পর অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন তিনি।
কিন্তু, মাঝখানের এই ২৯ বছরে একবারও অযোধ্যায় পা রাখেননি নরেন্দ্র মোদি। গতবছর তিনি যখন ফৈজাবাদ-আম্বেদকরনগরে ভোটের প্রচারে গেলেন তখনও ঢিলছোঁড়া দূরত্ব অযোধ্যায় পা রাখেননি। প্রধানমন্ত্রীর অনুগামীরা বলছেন, এটাই নরেন্দ্র মোদি। নিজের সংকল্পে সব সবসময় অটুট থাকেন। আর সংকল্প পুরণের জন্য যাবতীয় ত্যাগ, পরিশ্রম স্বীকার করতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.