সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই থেকে দিল্লি বা চেন্নাই পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ১ ঘন্টা। চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়, দেশজুড়ে এরকমই অত্যাধুনিক হাই স্পিড ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
নয়া এই প্রযুক্তির নাম ‘হাইপারলুপ’। একটি গ্লোবাল হাই স্পিড ট্রাভেল সলিউশন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে পা রাখছে এই নয়া প্রযুক্তি। নয়াদিল্লিতে ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সংস্থার কর্তারা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। আপাতত উত্তর আমেরিকার নেভাদায় হাইপারলুপ প্রযুক্তিতে পরীক্ষামূলক যাতায়াত ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
ভারতেও এই অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করার অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণ বিভাগের কাছে আবেদন করেছে মার্কিন সংস্থা হাইপারলুপ ওয়ান। তাঁদের দাবি, বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি টানেলের মধ্যে দিয়ে চলাচল করবে ট্রাভেল পড বা এক ধরনের ট্রেন যা দেখতে অনেকটা ক্যাপসুলের মতো। রেলের মতো এই যানও ছুটবে ট্র্যাকের উপর দিয়ে। গোল পাপের মতো সেই ট্র্যাক হবে বায়ুশূন্য। ভ্যাকুয়াম টানেলের মধ্যে দিয়ে চলবে বলে ও ম্যাগনেটিক ফিল্ডের প্রচণ্ড আকর্ষণের জন্য এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০৮০ কিলোমিটার। যার ফলে চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছনো যাবে আধ ঘণ্টায়। চেন্নাই থেকে মুম্বই যেতে লাগবে এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়। চেন্নাই–বেঙ্গালুরু, চেন্নাই–মুম্বই, বেঙ্গালুরু–তিরুবনন্তপুরম, মুম্বই–দিল্লি-সহ মত পাঁচটি রুটে এই ‘পড’ চালাতে উৎসাহ দেখিয়েছে হাইপারলুপ।
সোলার পাওয়ারে চলবে বলে এর নির্মাণ খরচ খুব বেশি নয় বলে দাবি করা হয়েছে। ট্রাভেল পডে টিকিটের দাম বাসের টিকিটের দামের সমান হবে বলে জানিয়েছে হাইপারলুপ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৃথিবীর প্রথম ট্রাভেল পডটি চলবে দুবাই থেকে আবু ধাবির মধ্যে। সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট! এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দুই শহরকে জুড়তে পারলে এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছে যাওয়া যাবে বিমানের চেয়েও দ্রুত গতিতে। বুলেট ট্রেনের পর এই ‘হাইপারলুপ’ই এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাখির চোখ।
সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালন লুপ বলেছেন, “হাইপারলুপ প্রযুক্তি বিমানের চেয়েও দ্রুতগতি সম্পন্ন, ট্রেনের মতো যাত্রী পরিবহণে সক্ষম, মেট্রোর মতো আরামদায়ক।” প্রাথমিক স্টোরে ভারতের পাঁচটি মেট্রো শহরকে জুড়তে চায় এই মার্কিন সংস্থা। তারপর এই পরিবহণ ব্যবস্থা জনপ্রিয় ও লাভদায়ক হলে দেশজুড়ে হাইপারলুপ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় সংস্থাটি। এই যুগান্তকারী ভাবনার পিছনে যে মানুষটি রয়েছেন, তাঁর নাম এলন মাস্ক। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘টেসলা মোটরর্স’-এর কর্ণধার এলন মাস্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.