ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচণ্ডের বিদায়ের পর রবিবারই কেপি শর্মা ওলিকে নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে শপথ গ্রহণ করলেন ওলি ও তাঁর মন্ত্রিসভা। তৃতীয়বার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর ৭২ বছর বয়সী কেপি শর্মা ওলিকে অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যোগ দেওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন কেপি শর্মা ওলি। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে এবং জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কৌশলগত পারস্পারিক অংশদারীত্ব বৃদ্ধি করতে করতে আমরা উন্মুখ।” এদিন এক্স হ্যান্ডেলে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন জনগণের উন্নতির লক্ষ্যে একত্রে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার।
Congratulations @kpsharmaoli on your appointment as the Prime Minister of Nepal. Look forward to working closely to further strengthen the deep bonds of friendship between our two countries and to further expand our mutually beneficial cooperation for the progress and prosperity…
— Narendra Modi (@narendramodi) July 15, 2024
উল্লেখ্য, শুক্রবার পার্লামেন্টে আয়োজিত আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড। ২৭৫ আসনের সংসদে মাত্র ৬৩টি ভোট পান তিনি। আস্থাভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাও দেন প্রচণ্ড। ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলে ৬৯ বছর বয়সি প্রচণ্ড। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪ বার আস্থাভোট হয়েছে নেপালে (Naepl)। প্রতিবারই জিতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে গত ৩ জুলাই প্রচণ্ড সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল)। এর জেরে ফের আস্থাভোটের মুখে পড়তে হয় প্রচণ্ড সরকারকে। ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি সভায় জিততে গেলে প্রয়োজন ছিল ১৩৮টি ভোট। সেখানে মাত্র ৬৩টি ভোট পায় প্রচণ্ড সরকার। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৯৪টি। যার জেরে মাত্র ১৯ মাসের মধ্যে সরকার পড়ে যায় নেপালে।
সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব অনুযায়ী, নেপালে ওলির দল সিপিএন-ইউএমএলের আসনসংখ্যা ৭৮টি, নেপালি কংগ্রেস ৮৯টি। ফলে সরকার গঠনে জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১৩৮টি আসন। সেখানে এই দুই দলের মিলিত আসনসংখ্যা ১৬৭টি। প্রচণ্ড সরকারের পতনের পর কেপি শর্মা ওলিকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন দেয় নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর। সেই মতো তৃতীয়বারের জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন ওলি। প্রসঙ্গত, এর আগে দুইবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন কেপি শর্মা ওলি। প্রথমবার নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.