সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক জায়গায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। আরেক জায়গার জনবিন্যাস পুরোপুরি দলের বিপক্ষে। একটা হরিয়ানা, আরেকটা কাশ্মীর। ভোট বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই রাজ্যেই (জম্মু ও কাশ্মীর অবশ্য এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) বিজেপির জন্য জমি অনুর্বর। তাতে ভালো ফসল ফলার সম্ভাবনা কম। কিন্তু সেটা করতে পারেন শুধু নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী প্রচারে ঝড় তুললেই একমাত্র হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবে বিজেপি। সেই কাজটা মোদি শুরু ও করে দিলেন।
শনিবার পুরোপুরি নির্বাচনী মোডে চলে গেলেন মোদি। এদিন কাশ্মীরের ডোডা এবং হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে শুরু হল প্রধানমন্ত্রীর ভোটপ্রচার। আগামী দিনে আরও প্রচার কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। দুই রাজ্যেই আরও বেশ কয়েকটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বস্তুত দুই রাজ্যেই ভোট বৈতরণী পার করাতে মোদির ভাবমূর্তিই ভরসা বিজেপির।
জম্মুর ডোডায় ৪২ বছর বাদে পা রাখলেন কোনও প্রধানমন্ত্রী। জম্মুর মধ্যে হলেও এই জেলা মূলত মুসলিম প্রধান। এবং বিজেপির জন্য কঠিন। সেখান থেকে চেনা ছন্দে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপিকে বিঁধলেন তিনি। মোদি বললেন, স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীরকে তিনটি পরিবার লুট করে চলেছে। ওদের জঙ্গিপনা এবার শেষ হবে।
হরিয়ানায় এবার প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মুখে গেরুয়া শিবির। সেরাজ্যে লোকসভাতেও ভালো ফল হয়নি বিজেপির। জাঠেদের সমর্থন এবার একচেটিয়া কংগ্রেসের দিকে। সঙ্গে রয়েছে দলিত-মুসলিমরাও। ভোটমুখী হরিয়ানার প্রথম সভাতেই তাই মোদি খেললেন ওবিসি কার্ড। সঙ্গে দলিতদেরও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলেন মোদি। তিনি বললেন, “কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ওবিসি বিরোধী, তফসিলি বিরোধী দল। ওরা সমাজের সব স্তরের মানুষকে মিথ্যে বলেছে।” বস্তুত দুই সভাতেই আগ্রাসী মেজাজে খেলেছেন মোদি। তিনিও জানেন, এই আগ্রাসনই মান বাঁচাতে পারে তাঁর দলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.