Advertisement
Advertisement

Breaking News

এনআরসি

এনআরসি তালিকায় নাম নেই, হতাশায় কুয়োয় মরণঝাঁপ শোনিতপুরের বৃদ্ধার

এনিয়ে এনআরসি জটে অসমে আত্মঘাতী হয়েছেন মোট ৩৩ জন।

Name not in NRC final list,woman commits suicide in Shonitpur
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 31, 2019 2:48 pm
  • Updated:August 31, 2019 3:11 pm  

মনিশংকর চৌধুরি, গুয়াহাটি: আশঙ্কা ছিলই। বাস্তবে হলও তাই। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই অপ্রীতিকর ঘটনা অসমে। তালিকায় নাম না থাকায় আত্মঘাতী হলেন এক বৃদ্ধা। মৃত মহিলা শায়েরা বেগম শোনিতপুরের ধলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তিনি কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, স্থানীয় সূত্রে খবর এমনই।

[আরও পড়ুন: রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, মৃত কমপক্ষে ৮]

সকাল ১০টা। অসমে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের এটাই ছিল মাহেন্দ্রক্ষণ। দুরুদুরু বক্ষে অপেক্ষা করেছিলেন ৪১ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে কার নাম নাগরিকপঞ্জিতে থাকবে, কারটাই বা বাদ যাবে, তা নিয়েই ভাবিত ছিলেন। নাম বাদ গেলে ‘বিদেশি’ বলে চিহ্নিত করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, এই আশঙ্কা ছিল অনেকেরই। রাতভর এই উদ্বেগে ছিলেন শোনিতপুরের বছর ষাটের বাসিন্দা শায়েরা
বেগম। সকাল হতেই তাঁর আশঙ্কা সত্যি হয়ে গেল। এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তিনি দেখেন, তালিকায় তাঁর নাম নেই। অর্থাৎ এবার থেকে তিনি ‘বিদেশি’। যে কোনও সময়ে তাঁর ঠাঁই হতে পারে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এই আশঙ্কায় তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেন। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে এনআরসি’তে নাম না থাকায় আত্মঘাতী হয়েছেন অসমের অন্তত ৩৩ জন। তার মধ্যে গত জুলাইতেই আশঙ্কার জেরে ৬জন আত্মহত্যা
করেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাঙালি হওয়া কি অপরাধ? NRC ইস্যুতে বিস্ফোরক অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য]

আসলে নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকার অর্থ তো আসলে নাগরিকত্ব হারানো। এবং নতুন করে তা প্রমাণে হাজারও ঝক্কি। এতদিন এদেশে বসবাসের পরও যদি নিজেকে নাগরিক প্রমাণে ব্যর্থ হন, তার চেয়ে হতাশাজনক সত্যিই কিছু হয় না। অসমে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে থেকেই এর স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনেকেই মনে করছেন, তালিকা থেকে
এমন অনেকেরই নাম বাদ গিয়েছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয় মোটেই। প্রায় ২০১৩ সাল থেকে দীর্ঘ পদ্ধতি মেনে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি তৈরি যে একেবারে নির্ভুল, এমনটা বলা যাচ্ছে না মোটেও। ফলে যা হওয়ার, তাই। শোনিতপুরের শায়েরা বেগমের ঘটনা শুনে কেউ কেউ বলছেন, এই সবে শুরু। এরপর এমন ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়বে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement