সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি শুক্রবার রাস্তা বন্ধ করে চলে নমাজ পড়া৷ ফলে তীব্র যানজটের সৃ্ষ্টি হয়৷ অনেক সময় বিকল্প রাস্তা খুঁজে ঘুর পথে পৌঁছতে হয় গন্তব্যে৷ স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ৷ এরই পালটা দিয়ে রাস্তায় বসে প্রতি মঙ্গল ও শনিবার করে শুরু হয়েছিল হনুমান চালিশা পাঠ৷ পথের মাঝেই আরতি করতেন বজরং দলের সদস্যরা৷ পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে ধর্মীয় কার্যকলাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল আলিগড়৷ প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, পুজো হোক বা নমাজ, রাস্তা আটকে আর কোনওরকম ধর্মীয় কাজ করা চলবে না৷
আলিগড়ের জেলাশাসক সিবি সিং বলেন, প্রতি সপ্তাহে রাস্তা আটকে নমাজ পড়া যাবে না৷ তবে ইদের মতো বিশেষ দিনে, যখন বিপুল সংখ্যায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ ভিড় জমান, তখন এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি তিনি এও জানান, প্রত্যেক মানুষেরই ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে৷ যার উপর কোনও বাধানিষেধ জারি করা যায় না৷ তবে সেক্ষেত্রে তা নিজের বাড়িতে মানতে হবে৷ অন্যদের অসুবিধায় ফেলে রাস্তায় নয়৷ আগাম অনুমতি ছাড়া শুক্রবারের নমাজ রাস্তায় পড়া যাবে না৷ সিবি সিংয়ের কথায়, “আমি একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠনের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছি৷ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, আলিগড় এমনিতেই একটি ধর্মীয় স্পর্শকাতর শহর৷ আর এখানে ক্রমে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে নমাজ ও পুজো নিয়ে বিভেদ থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে৷”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আগে একই ছবি ধরা পড়েছিল হাওড়ায়৷ নমাজের পালটা দিয়ে মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরের সংলগ্ন রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা৷ হাওড়ার বালিখালেও রাস্তা আটকে হনুমান চালিশা পাঠ করেছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা৷ গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়৷ কিন্তু এখনও রাস্তায় নমাজ পড়া বন্ধ করা সম্ভব হয়নি৷ হাওড়ার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের আরও পাঁচটি জেলায় একই ঘটনা ঘটেছে৷ সার্বিক অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়েই রাস্তায় ধর্মীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করেছে আলিগড়৷ এরপরই অনেকে প্রশ্ন তুলছে, আলিগড় পথ দেখাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বাকি শহরগুলিও কি তাকে দেখে শিখবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.