সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক রহস্যময় রাস্তা গতি আটকাচ্ছে যমুনার। কোথা থেকে এল সেই রাস্তা, কে তৈরি করল, কবে তৈরি হল, সেসব প্রশ্ন তো আছে। শুধু কোনও উত্তর নেই পরিবেশপ্রেমীদের কাছে।
[‘আর বেরোনোর রাস্তা নেই’, নীল তিমির শিকারের শেষ বয়ান]
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘ নদীর গতিপথ রোধ করে তৈরি হয়েছে এই পায়ে চলা রাস্তা। কাদামাটি, জঞ্জাল, পাথর দিয়ে রাস্তাটি গড়ে উঠেছে। যা দিয়ে খুব সহজেই পারাপার করা যাচ্ছে নদীর ওপর দিয়েই, পায়ে হেঁটে। কারণ জলের স্তর রাস্তায় প্রায় নেই, গতিও কমে গেছে একেবারেই। ফলে পায়ে হেঁটে মানুষ সেই রাস্তা ধরে পেরিয়ে যাচ্ছেন যমুনা। যমুনা ব্যাঙ্ক ও ইন্দ্রপ্রস্থ মেট্রো স্টেশনের মাঝের যমুনা নদীর ওপর গড়ে উঠেছে এই রাস্তা। ১০০ মিটার লম্বা ও ৩ মিটার চওড়া রাস্তাটি যমুনার দুই পাড়কে যুক্ত করেছে, যেখান দিয়ে মানুষ পারাপার করছেন বিনা বাধায়।
[ফসল বাঁচাতে স্কুলে বন্দি গরুর পাল, পড়াশোনা লাটে যোগীর রাজ্যের স্কুলে]
পরিবেশবিদদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তারা রীতিমতো বিস্মিত হন। তারা বলছেন ইতিমধ্যেই জলের গতি রোধ করে দিয়েছে এই রাস্তা। ফলে নদীগর্ভের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়েছে। জলজ প্রাণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই রাস্তা মূলত যমুনার গতি রোধ করার প্রাথমিক ধাপ বলেও সতর্ক করেছেন পরিবেশবিদরা। অত্যন্ত সুচারুভাবে ও পরিকল্পনা করে এই ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে যমুনা নদীর তীরে যোগগুরু রবিশঙ্করের আর্ট অফ লিভিং-এর বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। পরিবেশের ক্ষতি করে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় বলে বিতর্ক ওঠে। এমনকি রবিশঙ্করের রীতিমতো সমালোচনা করে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
[মহিলা ঘটিত অপরাধে শীর্ষে বিজেপির নেতারা, সমীক্ষায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির]
পরিবেশবিদদের দাবি মেট্রো লাইনের পাশ দিয়ে এই রাস্তা গড়ে তোলার পিছনে যথেষ্ট অভিসন্ধি রয়েছে। কারণ মূলত যেখানে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তা সহজে সাধারণ মানুষের চোখে পড়বে না। মেট্রোর যাতায়াতের পথে খুব সময়ের জন্যই এই এলাকা চোখে পড়ে। ফলে রাস্তা গড়ে তুলতে সুবিধা হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত এই রাস্তা চোখে পড়েনি দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদের। এমনকি নদীতীরের বাসিন্দারাও কিছু জানেননা বলে দাবি করছেন। কিন্তু কেন, কি উদ্দেশ্যে এই রাস্তা গড়ে উঠেছে, তার হিসেব মেলাতে পারছেন না কেউই। তবে উদ্দেশ্য যে সহজ ও সুবিধার নয়, তা স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.