সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান (Galwan) উপত্যকায় ভারত-চিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘিরে উত্তাল আন্তর্জাতিক রাজনীতি। অশান্তির সূত্রপাত কোথা থেকে? কে উসকানি দিয়েছে? চিনের কতজন জওয়ান মারা গিয়েছে? এ ধরণের নানাবিধ প্রশ্ন নিয়ে ক্রমাগত জনঘোলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন ভারতীয় সেনা প্রধান ভি কে সিং (V K Singh)। জানিয়ে দিলেন, ‘কথা রাখেনি চিন’। আলোচনার পরও গালওয়ান উপত্যকায় ছাউনি বানাচ্ছিল লালফৌজ। ভারতীয় জওয়ানরা তা নিয়ে কথা বলতে যান। সেসময় চিনের তাঁবুতে আগুন ধরে যাওয়াতেই অশান্তি সূত্রপাত হয়। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চিনের তরফে কমপক্ষে ৪০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।
১৫ জুন রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে গালোয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সংঘর্ষ বাঁধে। ভারতের তরফে ২০ জওয়ান শহিদ হন। জখম হন বহু। তবে চিনের তরফে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিল বেজিং। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেনেদ্র মোদি (Narendra Modi) দাবি করেছিলেন, চিনকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সোমবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং (V K Singh) জানান, ওই সংঘর্ষে চিনের ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) তরফে এ কথার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল ১৫ জুন রাতে? কেন অশান্তি বেঁধেছিল সেদিন রাতে? কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং (V K Singh)-এর কথায়, কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে দুপক্ষের কোনও সেনা থাকবে না। কিন্তু সেদিন যখন ভারতীয় সেনারা (Indian Army) নিজেদের এলাকার হালহকিকত দেখতে যান, দেখেন, পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) জওয়ানরা তখনও এলাকা ছাড়েনি। বরং নতুন করে ছাউনি তৈরি করছে। ভারতীয় কম্যান্ডিং অফিসার তাঁদের ছাউনি সরিয়ে নিতে বলেন। ভি কে সিংয়ের কথায়, “চিনা সেনারা ছাউনি সরিয়েও নিচ্ছিল। সেসময় আচমকাই তাঁদের ছাউনিতে আগুন ধরে যায়। যার পরই দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি বাঁধে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.