সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের স্ত্রীর সংস্থাকে আকর্ষণীয় শর্তে পিপিই কিটের বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) বিরুদ্ধে। তথ্যের অধিকার আইনে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এই অভিযোগ কার্যত মেনেই নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিমন্ত দাবি করলেন, তাঁর স্ত্রী এই বাবদ একটি অর্থও নেননি।
টুইটারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ”যখন দেশ ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অতিমারীর মুখোমুখি হয়েছিল, সেই সময়ে অসমে পিপিই কিট ছিলই না। আমার স্ত্রীই এগিয়ে আসেন। উনি সরকারকে দেড় হাজারেরও বেশি পিপিই কিট দান করেছিলেন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে। উনি এজন্য একটি পয়সাও নেননি।”
At a time when the entire country was facing the worst pandemic in over 100 years , Assam hardly had any PPE Kits
My wife took the courage of coming forward and donating around 1500 free of cost to the govt to save lives
She didn’t take a single penny. pic.twitter.com/ESPJ64qKen
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) June 4, 2022
করোনা অতিমারীর সময় অসমে সর্বানন্দ সোনওয়াল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই সময় অতিমারী মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার বরাত দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। সেই সব বরাত যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রীর নামও আছে। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, সরকারি বরাত হস্তগত করতে ঘনশ্যাম ধানুয়া নামে এক ব্যবসায়ীর সংস্থাকে অসম সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধানুকা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া শর্মার (Riniki bhuyan Sarma) সংস্থা জেসিবি ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম অংশীদার। শুধু তাই নয়, শর্মা পরিবারের অত্যন্ত কাছের লোক বলেই তিনি অসমের রাজনৈতিক মহলে পরিচিত।
এপ্রসঙ্গে শনিবার আম আদমি পার্টির তরফে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ”হিমন্ত বিশ্বশর্মা ওঁর স্ত্রীর সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। উনি পিপিই কিট পিছু ৯৯০ টাকা দিয়েছিলেন। যেখানে অন্যান্য সংস্থা ৬০০ টাকা করে নিচ্ছিল। এটা বড় অপরাধ। বিজেপির কি সাহস আছে নিজেদের নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার? নাকি ওরা আমাদের কথাকে উড়িয়ে দেবে?” এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও।
এদিকে অসমের বিজেপি সরকারের এই ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দলের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘অসমের মানুষ যখন অতিমারীতে ভুগছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার আত্মীয়-বন্ধুরা পকেট ভরছিল। আর কত নিচে নামবে বিজেপি? মানুষের জীবনের সঙ্গে খেলা এবং তাদের দুর্দশার মধ্যে ফেলাই কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আসল অ্যাজেন্ডা?’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.