বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: চেয়েছিলেন কোলার। মিলেছে মহীশুরুর ভরুনা। তাতেই ‘রেগে আগুন, তেলে বেগুন’ কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। জানিয়ে দিলেন এবারই শেষ। ভোটের পর সংসদীয় রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন তিনি। প্রবীণ নেতার হুঙ্কারের পরই নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস। বুধবারই কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে বিপাকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমানির বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী বিনয় কুলকার্নি।
বুধবার পিপলস রিপ্রেসেনটিটিভ কোর্ট বিনয়কে তাঁর কেন্দ্রে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আবার বেঙ্গালুরু, মহীশুরু-সহ বিভিন্ন জেলায় বহু বাঙালির বসবাস। অথচ এদিন কংগ্রেসের তরফে তারকা প্রচারকের যে তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে বাংলার কোনও নেতার নাম নেই। এমনকী, লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরি নামও নেই তালিকায়।
ইচ্ছাপূরণ না হওয়ায় নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন কন্নড় রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ সিদ্দারামাইয়া। তাতেই ভোটের মুখে চাপে শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস (Congress)। নিজের ইচ্ছেমতো কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে না পারায় এদিন ক্ষোভ উগরে দেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। ভোট মিটলেই সংসদীয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন বলে ঘোষণা করেন তিনি। সিদ্দারামাইয়ার ঘোষণায় বিপাকে কংগ্রেস।
ভোটব্যাংকে এর প্রভাব পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে দলের একাংশ। তাঁর মুখ বন্ধ করতে সক্রিয় হয়েছেন খাড়গেরা। প্রবীণ সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন তিনি। সেইসঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পর পঞ্চম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেস। দক্ষিণের এই রাজ্যে বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। কর্মসূত্রে বসবাস করার সুবাদে তাঁরা সে রাজ্যের ভোটার। অথচ বাঙালি ভোটারদের মন জয়ে কোনও উদ্যোগ নেই সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীদের। তারকা প্রচারকের যে তালিকা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে সেখানে একজনও বাঙালি নেতার নাম নেই। অথচ তালিকায় রয়েছে হিন্দিভাষী যুবনেতা কানাইয়া কুমার ছাড়াও একাধিক মালয়ালি নেতার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.