Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে ‘সেরা ব্যক্তি’কে প্রয়োজন, বলল সুপ্রিম কোর্ট

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অরুণ গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র।

Must Have
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 23, 2022 10:09 am
  • Updated:November 23, 2022 6:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সংবিধান (Indian Constitution) দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (Chief Election Commissioner)  কাঁধে বিপুল ক্ষমতা অর্পণ করে থাকে। ফলে “শক্তিশালী চরিত্রের কাউকে” এই পদে নিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে। যিনি এই কঠিন দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বর্তমান উদ্বেগজনক রাজনৈতিক আবহে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনকে (TN Seshan) স্মরণ করল শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অরুণ গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কেন্দ্রের কাছ থেকে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত নথি  খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত। 

সম্প্রতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা ও সংস্কার চেয়ে শীর্ষ আদালতে একটি মামলা হয়। তার শুনানি চলছে বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। মঙ্গলবার বিচারপতিদের সাংবিধানিক বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘পরিস্থিতি উদ্বেগজনক’। এই অবস্থায় টি এন সেশনের মতো ব্যক্তিত্ববান শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনরের প্রয়োজন রয়েছে। সেশন ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সালের কার্যকালে একাধিক নির্বাচনী সংস্কার করে গিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গুজরাটে এবার ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার, ভোট প্রচারে নয়া তত্ত্ব পদ্মবাহিনীর]

বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু, বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমার দাবি করেন, “দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যাতে করে সেরা মানুষটাই এই পদে আসিন হয়।” বিচারপতিদের আক্ষেপ, ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছরের ইতিহাসে একাধিক মানুষ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন, কিন্তু টি এন সেশনের মতো ব্যক্তিত্বকে একবারই পেয়েছে দেশ। “আমরা চাই না কেউ এই পদটির উপর কর্তৃত্ব চলুক। তিনটে মানুষের উপর বিরাট দায়িত্ব থাকে। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ও তাঁর দুই সহযোগী। ফলে সেরা লোকটাকেই প্রয়োজন এই গুরুত্বপূর্ণ পদে।” শুনানিতে সরকারের আইনজীবী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারও চায় এই পদে যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ হোক। প্রশ্ন হল, তার পদ্ধতি কী হওয়া উচিত।

[আরও পড়ুন: হিন্দু মেয়ে বলেই শ্রদ্ধাকে খুন! লাভ জিহাদ রুখতে দেশে কঠিন আইন দরকার, মন্তব্য হিমন্তের]

সরকার পক্ষের দাবি, “ভারতের সংবিধান মেনে এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হয় না। বর্তমানে মন্ত্রী পরিষদের সহায়তায় ও পরামর্শে দেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়।” যদিও কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একাধিক সিদ্ধান্তের পিছনে কেন্দ্রের অদৃশ্য অঙুল দেখে থাকে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে থাকে কমিশন ও কেন্দ্র। উলটে বলা হয়, একশো শতাংশ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে কমিশন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement