সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য দুই সন্তান নীতিতে সিলমোহর দিয়েছে অসম মন্ত্রিসভা। এই নীতি অনুযায়ী, ২০২১ সালের পর দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে অসমের কোনও নাগরিককে সরকারি চাকরিও দেওয়া হবে না। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে গিয়ে রীতিমতো বিতর্ক বাঁধিয়ে ফেললেন এআইইউডিএফ সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল।
আজমলের দাবি, বিজেপি সরকার এমনিতেই মুসলিমদের চাকরি দেয় না। সংখ্যালঘুদের সব ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়। তাই সরকারের নতুন নিয়ম মুসলিমরা মানবে না। তাঁর মতে, এভাবে কাউকে পৃথিবীর আলো দেখা থেকে আটকানো যায় না। তিনি বলেন, “মুসলিমরা দুই সন্তান নীতিতে বিশ্বাস করে না। এভাবে কাউকে পৃথিবীর আলো দেখা থেকে আটকানো যায় না। সরকার তো এমনিতেই আমাদের চাকরি দিচ্ছে না। আর সরকারের কাছে আমাদের কোনও প্রত্যাশাও নেই। আমি আমাদের নিজেদের লোকেদের বলব, আপনারা যত খুশি সন্তানের জন্ম দিন। তাদের শিক্ষিত করে তুলুন। যাতে ওরা নিজেরাই কর্মসংস্থান করে নিতে পারে। ব্যবসা করতে পারে। নিজেদের সংস্থা খুলে দেখাও। যাতে নিজেদের পাশাপাশি হিন্দু ভাইবোনেদেরও চাকরি দিতে পারে তাঁরা। “
বদরুদ্দিনের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসদা টুইট করে বলছেন, “আমি নিজেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে। বদরুদ্দিন আজমলদের মতো কিছু নেতা, সব কিছুর সঙ্গে ধর্ম জুড়ে দেন। এর ফলে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলগুলি সুবিধা পেয়ে যায়।” বিজেপির তরফে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং আবার বলছেন, দ্রুত সমগ্র ভারতে জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন চালু করতে হবে। নাহলে, ৫০ বছরের মধ্যে হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
উল্লেখ্য, অসম সরকারের সদ্য পাশ হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পর যে সমস্ত দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এখন যারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.