সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজধানী যখন সাম্প্রদায়িক হানাহানির করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে, তখন প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর দেখল সম্প্রীতির অনন্য ছবি। দশ বছরের পুরনো জমি বিবাদ মিটিয়ে মসজিদের জমিতে শিখদের ধর্মস্থান গুরুদ্বার তৈরির অনুমতি দিল মুসলিমরা।
আসলে, দিল্লিতে যখন হানাহানি চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন মুসলিমদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শিখরা। অনেক মুসলিম পরিবার আশ্রয় পেয়েছে শিখদের বাড়িতে। তাঁদের দৌলতে বেঁচে গিয়েছে অসংখ্য প্রাণ। সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই নিজেদের অধিকার ছেড়ে দিয়ে বিতর্কিত জমিতে গুরুদ্বার তৈরির অনুমতি দিয়েছে সাহারানপুরের মসজিদ কমিটি। যে জমির কথা বলা হচ্ছে, সেটি নিয়ে দীর্ঘ দশ বছর ধরে বিতর্ক চলছিল। সাহারানপুর (Saharanpur) স্টেশন সংলগ্ন একটি গুরুদ্বারের সম্প্রসারণ নিয়ে মূল বিতর্ক। এই এলাকার শিখ ধর্মাবলম্বীরা বছর দশেক আগে গুরুদ্বারটি সম্প্রসারণের জন্য এর আশেপাশের বেশ খানিকটা জমি কিনে নেয়। জমি কেনার পর ওই জমির উপর যে নির্মাণ ছিল, সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়। মুসলিমপক্ষের দাবি, ওই বিতর্কিত ইমারতটি আসলে ছিল একটি মসজিদ।
এরপরই মসজিদ ভেঙে দেওয়া এবং মসজিদের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগে আদালতে যায় মুসলিমপক্ষ। গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন মহরম আলি নামের এক ব্যক্তি। মামলাটি দ্রুত পৌঁছে যায় সুপ্রিম কোর্টে। দশ বছর ধরে মামলা চলছিল। বন্ধ ছিল ওই গুরুদ্বারের সম্প্রসারণের কাজ। অবশেষে সেই বিতর্ক মিটল। দিল্লির অশান্তিতে শিখদের পাশে পেয়ে আপ্লুত মুসলিমপক্ষ নিজেদের দাবি প্রত্যাহার করে নিল। সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে তাঁরা। মুসলিম পক্ষের আইনজীবী নাজিম পাশা বলছেন, “শিখরা যেভাবে দিল্লিতে আমাদের সেবা করেছে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সাহারানপুরের মসজিদ কমিটি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ওঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আনুগত্য থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.