সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান…। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাই ভারতের ঐতিহ্য। তা সত্ত্বেও ইদানীং ধর্মে ধর্মে হানাহানির কথা প্রায়শই শোনা যায়। তবে এখনও যে সকলে ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী হয়ে যাননি তারই প্রমাণ দিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আহমেদনগরের বাবাভাই পাঠান। মুসলমান হয়েও নিজের খরচে দুই হিন্দু তরুণীর বিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর কথাই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। বাবাভাই পাঠানের মহানুভবতা মুগ্ধ করেছে সকলকে।
বাবাভাই পাঠান মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের বাসিন্দা। তাঁর প্রতিবেশী বিবাহবিচ্ছিন্না এক হিন্দু মহিলা। সদ্য বিবাহিত ওই দুই তরুণী বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলারই সন্তান। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসার পর থেকে বহু কষ্টে মেয়েদের বড় করেছেন তিনি। নিজের বলতে ওই মহিলার দুই মেয়ে ছাড়া আর কেউই নেই। বিপদে আপদে যখনই ডেকেছেন তখনই বাবাভাই পাঠানকে পাশে পেয়েছেন তিনি। রাখিপূর্ণিমার দিন বাবাভাইকে নিজের ভাই ভেবে রাখি বাঁধেন ওই মহিলা।
মেয়েদের বিয়ের জন্য পাত্র দেখে ফেলেছিলেন অসহায় মা। কিন্তু কীভাবে যে তিনি বিয়ের আয়োজন করবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। বিপদের দিনে আবারও বাবাভাইয়ের সাহায্য চান। ধর্মপ্রাণ মুসলিম ব্যক্তি বাবাভাইও কাউকে শূন্য হাতে ফেরাতে পারেন না। তাই তো নিজের কাঁধে ওই তরুণীদের বিয়ের দায়িত্ব তুলে নেন। কোভিড বিধি মেনে বিয়ের আয়োজনও করা হয়। হিন্দু নিয়মকানুন মেনে দুই মেয়ের বিয়ে দেন। তাঁদের মায়ের থেকে বিয়ের খরচ বাবদ এক পয়সাও নেননি বাবাভাই। পরিবর্তে নিজের টাকা খরচ করেন হিন্দু তরুণীদের বিয়ে দেন বাবাভাই পাঠান।
আরিফ শাহ নামে এক সাংবাদিক এই ঘটনাটি প্রথম টুইট করেন। আর ওই টুইটের মাধ্যমেই এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল বাবাভাই পাঠানের কীর্তি।
Muslim man Bababhai Pathan, from Ahmednagar, Maharashtra, has adopted two orphan sisters & wedded them from his own expenses according to the Hindu rituals. He has been widely praised for his humanitarian work across the country. pic.twitter.com/zLIQP76JnS
— Aarif Shah (@aarifshaah) August 23, 2020
এই হিংসা, হানাহানির দুনিয়ায় বাবাভাইয়ের মহানুভবতাই যেন মুগ্ধ করেছে সকলকে। নেটিজেনরা প্রত্যেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.