ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মসজিদে উসকানিমূলক কার্যকলাপ। হাতে অস্ত্র তুলে নিতে মসজিদ চত্বরেই সংখ্যালঘুদের প্ররোচনা মুসলিম আইনজীবীর। কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায়, এবং কখন এই অস্ত্র প্রয়োগ করতে হবে, ধর্মীয় স্থানেই খোলামেলাভাবে দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশিক্ষণ।
[আরও পড়ুন: রেহাই পেল না ১৫ দিনের শিশুও, সিরিয়ার পুনরাবৃত্তি কাশ্মীরে]
ঘটনাটি লখনউয়ের ‘টিলেওয়ালি মসজিদের’। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৬ জুলাই সেখানেই একটি ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করেন দিল্লির আইনজীবী মাহমুদ প্রাচা। আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার জন্য কীভাবে লাইসেন্স নিতে হয়, মুসলিম যুবকদের সেসব শেখাচ্ছেন দিল্লির ওই আইনজীবী। তাঁর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম ধর্মগুরু মৌলানা সুফিয়াঁ নিজামি। আইনের তোয়াক্কা না করে মুসলিম যুবকদের গণপিটুনি ও গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে হিংসার পথ বেছে নেওয়ার বার্তা দেন তাঁরা। একইসঙ্গে চলে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বার্তা। মুসলিমদের জমি-বাড়ি বিক্রি করে অস্ত্র কেনার কথা বলা হয়। পাশাপাশি আফগানিস্তান ও সিরিয়ার ধাঁচে ‘মিলিশিয়া’ বা সশস্ত্র মুসলিম বাহিনী গড়ে তলার আহ্বান জানান ওই আইনজীবী।
ওই দিনই একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাচা বলেন, “সরকার গণপিটুনি থামাতে ব্যর্থ। আমরা আত্মরক্ষার জন্যই অস্ত্র সংগ্রহ করতে চাইছি। এটা কোনও অন্যায় বলে আমি মনে করিনা। গণপিটুনির বিরুদ্ধে সরকার কড়া আইন আনলে, আমরা এই ক্যাম্প বন্ধ করে দেব। শুধু মুসলিম নয়, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদেরও আমরা অস্ত্র আইনের বিষয়ে বুঝিয়েছি।”
এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, “গণপিটুনি নিন্দনীয় কাজ। তবে হাতে আইন তুলে নেওয়াও ঠিক নয়। হিংসা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারার প্রচার করে কিছু ব্যক্তি বা সংগঠন দেশ বিভাজনের চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত, মাদ্রাসার আড়ালে জেহাদি শিক্ষার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে সাফ বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলি থেকেই ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসের জাল। মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান ও মালদহের মাদ্রাসাগুলিকে জঙ্গি নিয়োগের কাজে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি। এই মাদ্রাসাগুলিতে সংখ্যালঘু যুবকদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এবার উত্তরপ্রদেশেও এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে উদ্বিগ্ন প্রতিরক্ষা মহল।
[আরও পড়ুন: ইরানি মিসাইলে কুপোকাত, মার্কিন ড্রোন কেনা নিয়ে ধন্দে ভারত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.