সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কট্টরপন্থী মুসলমানদের রোষের শিকার হলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। জয়পুরে সাহিত্য উৎসবে তাঁর উপস্থিতি অনেককেই চমকে দিয়েছিল। সেখানেই তিন তালাকের বিরোধিতা করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দাবিতে সরব হন তিনি। পাশাপাশি এও বলেন, ইসলামের সমালোচনা করতে পারলেই ইসলামিক দেশগুলিতে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা পাবে। তাঁর এমন মন্তব্যে বেজায় চটেছে সংখ্যালঘুদের একাংশ। তাদের মতে, অত্যধিক স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছেন লেখিকা।
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য ও বিতর্কিত বই প্রকাশ করে নিজের ধর্মের মানুষেরই বিরাগভাজন হয়েছেন তসলিমা। যার ফলে ১৯৯৪ সালে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল তাঁকে। তবে নির্ভয়ে নিজের ভাষাতে প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। জয়পুর সাহিত্য উৎসবেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বলেন, “যখন আমি বা অন্য কেউ হিন্দু, বৌদ্ধ বা অন্য কোনও ধর্মের সমালোচনা করি, তখন কিছু হয় না। কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই লোক আপনার প্রাণ নেওয়ার জন্য তাড়া করতে শুরু করে। ফতোয়া জারি করে দেয়। ফতোয়া ছাড়াও বিরোধিতার অন্য অনেক ভাষা রয়েছে, যেভাবে আমরা করে থাকি।” পাশাপাশি তিন তালাকের বিরোধিতা করে তাঁর বক্তব্য, “মহিলাদের সুরক্ষার জন্য যত শীঘ্র সম্ভব ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা দরকার।”
তিন তালাকের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তাঁর বিরোধিতা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ওই সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। ফলে তসলিমার সাহিত্য উৎসবে যোগ দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয় ইসলাম ফোরামগুলি। তসলিমার বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাজস্থান মুসলিম ফোরামের আহ্বায়ক কারি মঈনউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়ার পর তাঁকে এই দেশে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি খুব বেশি স্বাধীনতা পেয়ে গিয়েছেন। উদ্যোক্তাদের তরফে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছিল যে উৎসবে লেখক সলমন রুশদি এবং তসলিমা অংশ নেবেন না। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওঁদের ডাকা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.