সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। চারপাশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির বাতাবরণ। তার মাঝেই অন্যরকম ছবি উঠে এল কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)উপত্যকা থেকে। বছরের পর বছর ধরে শ্রীনগরের এক শিব মন্দিরের (Shiv Temple) দায়িত্বে রয়েছে এক মুসলিম পরিবার। বাবা-ছেলে মিলেই দেখভাল করছেন মন্দিরটির। গোপী তীর্থ মন্দিরে এই সাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের ছবিই এই মুহূর্তে শান্তির বার্তাবাহী।
J&K | Speech and hearing impaired Muslim father-son duo takes care of a temple in Srinagar
They’re working as caretakers for a long time now and are responsible for its protection. It’s a sign of Kashmir’s brotherhood which is every citizen’s moral responsibility,” said a local pic.twitter.com/znbv1O2ocd
— ANI (@ANI) February 13, 2022
শ্রীনগরের জবরওয়ান এলাকার গোপী তীর্থ মন্দির। গত ৬ বছর ধরে মন্দিরটি চলছে আহমেদ আলি ও নিসার আহমেদের তত্ত্বাবধানে। বৃদ্ধ বাবা আর ছেলে। দু’জন যত্ন করে হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার এই মন্দিরটি রক্ষা করে চলেছে। আর তাঁদের দেখে আরও বহু স্থানীয় বাসিন্দাই এগিয়ে এসেছেন মন্দিরের কাজে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, শিব মন্দিরটি গড়ে উঠেছে কাশ্মীরের সৌভ্রাতৃত্বের (Brotherhood) চিহ্ন হিসেবে। তাই তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ সকলের।
রোজ সকাল সকাল বৃদ্ধ আহমেদ আলি ছেলে নিসারকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান গোপী তীর্থ মন্দিরে। মন্দির চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পুজোর জন্য প্রস্তুত করে দেন। জবরওয়ানের বাসিন্দা ফিরদৌস বলেন, “বৃদ্ধ আহমেদ আলি ও তাঁর ছেলে বহুদিন ধরে এই মন্দিরের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এটা আসলে কাশ্মীরবাসীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের প্রতীক আর তার দেখভাল করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।” আরেক বাসিন্দা উমরের কথায়,
“কাশ্মীরে এমন অনেক হিন্দু মন্দিরই আছে, যার দেখভাল করেন মুসলিম (Muslim) বাসিন্দারা। এটাই উপত্যকার আসল ছবি।”
কখনও যদি আহমেদ আলি ও নিসার মন্দিরটির দেখভাল করতে না পারেন, তাহলে এলাকার অন্যরা মন্দিরের দায়িত্ব নেন। এভাবেই গোপী তীর্থ মন্দিরের পুজোআচ্চা চলছে নিয়মিত। বজায় রয়েছে শান্তিও। এই ছবি হয়ত নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেখানে আহমেদ পিতা-পুত্রের কাহিনি সম্প্রীতির প্রকৃত ছবি হয়েই উঠে আসে। দেখায় আশার আলো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.