Advertisement
Advertisement

৩১ বছর ধরে জন্মাষ্টমী পালন করে চলেছে এই মুসলিম পরিবার

ধর্মের সত্যিকার রূপ যেন দেখা গেল এই মুসলিম পরিবারের ধর্মচারণেই৷

Muslim Family From Kanpur has been celebrating Janmashtami for 29 years
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 2, 2018 5:19 pm
  • Updated:September 2, 2018 7:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দর করে সাজানো বেদী৷ সেখানে রাখা কৃষ্ণমূর্তি৷ আজ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আর একটু বেশিই সাজানো হয়েছে৷ যথারীতি চলছে পুজো-আচ্চার আয়োজন৷ জন্মাষ্টমীতে এ কোনও অপরিচিত দৃশ্য নয়, তবে যে বাড়িতে এই উদযাপন, তা আসলে এক মুসলিম পরিবারে৷ ধর্মে বিভাজনের খড়ি টেনেছে মানুষ৷ আর তাই এই পুজো দেখে অনেকেরই অবাক লাগে৷ কিন্তু এ বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পুজোর রেওয়াজ এই তিন দশকে পা দিল৷

মানুষকে যা ধারণ করে তাই-ই ধর্ম৷ কিন্তু মানুষই সেই ধর্মে বিভাজন এনেছে৷ হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান-জৈন হয়ে ভাগ হয়ে গিয়েছে বহু সম্প্রদায়ে৷ আবার মানুষই পারে সেই বিভাজন ভেঙে দিয়ে এক হয়ে যেতে৷ সেরকমই সম্প্রীতির নমুনা দেখালেন কানপুরের ডাঃ এস আহমেদ৷ টানা ৩১ বছর ধরে নিজেদের বাড়িতে জন্মষ্টমী পালন করে আসছেন তাঁরা৷

Advertisement

[এই পৌরাণিক রীতিগুলি মেনেই আজও ঘরে ঘরে পালিত হয় জন্মাষ্টমী]

কেন এ কাজ করে চলেন তাঁরা? ডাঃ আহমেদ জানাচ্ছেন, ‘তিনি কৃষ্ণের ভক্ত৷ ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা আছে৷’ তবে নেপথ্যে আছে এক গভীর বার্তা৷ তা হল সম্প্রীতি ও শান্তির প্রদীপটি জ্বালিয়ে দেওয়া৷ প্রায় তিন দশক ধরে তাঁরা এ কাজ করছেন৷ প্রতিবেশীরা উৎসাহ নিয়ে তাঁদের পুজো দেখতে ভিড়ও জমান৷ দেখতে আসেন জন্মাষ্টমীর সাজানো মঞ্চ৷ কোথাও কোনও বিভাজন নেই৷ ভিনধর্ম বলে কোনও অসূয়াও নেই৷ এই সম্প্রীতির নমুনাটুকুই তুলে ধরতে চেয়েছিল এই পরিবার৷ আর তাই এস আহমেদ বলেন, ‘মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বারে ভগবানকে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে, নদী ভাগ হয়েছে, সাগর ভাগ হয়েছে, কিন্তু মনুষত্বকে ভাগ করে ফেলো না৷’

সারা দেশে যখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তখন ধর্মের সত্যিকার রূপ যেন দেখা গেল এই মুসলিম পরিবারের ধর্মচারণেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement