সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে ফেলা হোক মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধ। বিতর্ক উসকে এমনটাই দাবি জানাল শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। ঐতিহাসিক ওই স্থাপত্য ভেঙে ফেলার কারণ হিসেবে বোর্ডের যুক্তি, দ্রুত কমে আসছে কবর দেওয়ার জায়গা। ফলে মৃতদেহের সৎকার করা ক্রমশই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। তাই ‘হুমায়ুনস টম্ব’ গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে মুসলিমদের জন্য কবরস্থান গড়া হোক।
[বাবরির পরিণতি হতে পারে তাজমহলেরও, বাড়ছে আশঙ্কা]
সূত্রে খবর, এই অদ্ভুত দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শিয়া বোর্ডের প্রধান ওয়াসিম রিজভি। তাঁর বক্তব্য, রাজধানী দিল্লিতে ক্রমশই কমে আসছে কবর দেওয়ার জায়গা। ফলে মৃতদেহের সৎকার নিয়ে সমস্যায় পড়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। তাই মুঘল বাদশাহর সমাধিসৌধ ভেঙে কবরস্থান করা হোক। দিল্লিতে কবরস্থানের অভাব নিয়ে কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের শিয়া বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠায় দু’টি মুসলিম সংগঠন। দিল্লির আশেপাশের এলাকায় কবরস্থানের জন্য জমি দেওয়ার আবেদনও জানায় তারা বোর্ডের কাছে। তারপরই এই আজব নিদান দেয় বোর্ড।
দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় রয়েছে বাদশাহ হুমায়ুনের সমাধি। মুঘল স্থপথ্যের ওই বিখ্যাত নিদর্শন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের বস্তু। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ। সেই সমাধি ভেঙে ফেলার নিদান দিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন শিয়া বোর্ডের প্রধান। শুরু হয়েছে বিস্তর সমালোচনা। তবে নিজের যুক্তির সমর্থনে রিজভি দাবি করেন, যেহেতু ওই সমাধি কোনও ধর্মীয়স্থল নয় তাই সেটিকে ভেঙে ফেলা যেতেই পারে। এছাড়াও আর্থিক দিক থেকেও তা লাভজনক। প্রত্যেক বছর ওই সৌধের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করতে হচ্ছে সরকারকে। কোষাগার থেকে টাকা বেরিয়ে গেলেও লাভ কিছু হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, হিন্দুদের মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। আগস্টে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছিল শিয়া ওয়াকফ বোর্ড। এছাড়াও রামমন্দির ইস্যুতে সমঝোতার পক্ষেই সমর্থন রয়েছে তাদের। এছাড়াও চলতি মাসেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়ে রামের মূর্তি নির্মাণে যোগীর পাশে দাঁড়ায় মুসলিম সংগঠনটি।
[সন্ত্রাসদমনে ‘রাম’-এর হাতে তির তুলে দেবে মুসলিম সংগঠন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.