ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে গুজরাট (Gujrat) পুলিশ। জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ভেবে তাঁরই দুই নিরাপরাধ ভাইকে খুনের দায়ে জেলে পুরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে আরাবল্লি জেলার খারপাদা গ্রামের ইসরি থানা এলাকায়। পুলিশের খাতায় ‘মৃত’ ব্যক্তি কয়েকমাস নিখোঁজ থাকার পর সশরীরে বাড়ি ফিরে এলেন। অথচ, তাঁকেই খুনের দায়ে জেলে পচে মরছেন তাঁর দুই ভাই।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ঈশ্বর মানাত। করোনা (Covid-19) সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি হওয়া লকডাউনে (Lockdown) জুনাগড়ে আটকে পড়েছিলেন পেশায় শ্রমিক ঈশ্বর। এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসেই মোতি মোরি গ্রাম থেকে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের পর সেটির রিপোর্ট এবং স্থানীয়দের বক্তব্য শুনে পুলিশের ধারণা হয় ওই মৃতদেহটি ঈশ্বরের। কারণ সেটির পায়ে একটি লোহার পাত বসানো ছিল। ঈশ্বরের পায়েও একটি লোহার পাত বসানো ছিল। আর এরপরই পুলিশের ভাবনা আরও দৃঢ় হয়। মৃতদেহটিকে সৎকারের পর ঈশ্বরের দুই ভাইকে থানায় ডাকা হয়। এরপর তাঁদের খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর গ্রামে ফিরে গোটা ঘটনা শুনে তাজ্জব হন ঈশ্বর। খবর পৌঁছায় প্রশাসনের কাছেও। দেখা যায়, সত্যিই বড় ভুল হয়েছে পুলিশে তরফে। এরপরই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঈশ্বরের অভিযোগ, থানায় নিয়ে তাঁর ভাইদের মারধর করে খুন করার কথা স্বীকার করানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় স্থানীয় থানার দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। যেমন উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায় ২০ বছর বয়সি মেয়েকে খুনের দায়ে বাবা এবং দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে, ১৮ মাস পর জানা যায় ওই যুবতী নিজের প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছেন!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.