সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ডিসেম্বরেই রাজস্থানের একটি ঘটনা চমকে দিয়েছিল গোটা দেশকে। লাভ জেহাদে জড়িত থাকার অভিযোগে এরাজ্যের শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মেরেছিল হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ শম্ভুলাল রেগার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি তুলে ছড়িয়েও দেওয়া হয়। সেই রোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হতেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায় শম্ভুলাল। বুদ্ধিজীবীরা এই নৃশংস অপরাধীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সপ্তমে। প্রতিবাদ সভা, শোক মিছিল সব কিছুই হয়েছিল। কিন্তু এসবের মধ্যেও হিন্দুত্ববাদীদের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠে শম্ভুলাল। এক শ্রেণির মানুষের কাছে রীতিমতো জনপ্রিয় শম্ভুলাল।
শম্ভুলালের এই জনপ্রিয়তাকেই এবার ভোটের ময়দানে কাজে লাগাতে চাইছে উত্তরপ্রদেশের ছোট রাজনৈতিক সংগঠন উত্তরপ্রদেশ নবনির্মাণ সেনা। অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় হলেও হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দলটি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আগ্রা থেকে শম্ভুলাল রেগারকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত আফরাজুল হত্যাকাণ্ডে জেলে রয়েছে শম্ভুলাল। যোধপুর জেল থেকেই সে নির্বাচনে লড়বে। উত্তরপ্রদেশ নবনির্মাণ সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত জানি বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশ নবনির্মাণ সেনা শম্ভুলালকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে যোধপুর জেল থেকেই নির্বাচনে লড়বে। আমরা চাইছি শুধুমাত্র হিন্দুত্ববাদী ভাবমূর্তির লোকেদের ভোটে দাঁড় করাতে, শম্ভুলালের চেয়ে ভাল প্রার্থী তাই আর কেউ হতে পারে না।”
কিন্তু, শম্ভুলালের মতো একজন ভয়াবহ খুনিকে প্রার্থী করাটা কতটা নৈতিক? এ প্রশ্নের উত্তরে নবনির্মাণ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ” এর আগে আতিক আহমেদ, মুখতার আনসারি এবং রাজা ভাইয়ার মতো অপরাধীরা লোকসভায় লড়েছেন। এমনকী ভোটে লড়েছেন সাহাবুদ্দিনের মতো বিপজ্জনক অপরাধীও। তাছাড়া, শম্ভুলালের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি। যতক্ষণ প্রমাণিত না হচ্ছে, ততক্ষণ কাউকে অপরাধী বলা যায় না।” রাজনৈতিক মহলের অনেকে অবশ্য এই যুক্তিতে নারাজ। তাঁরা বলছে, শম্ভুলালের মতো অপরাধীদের টিকিট দেওয়া মানে সামাজিক অবক্ষয়কে আমন্ত্রণ জানানো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.