ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কুসন্তান যদিও হয়, কুমাতা কদাপি নয়’। কথাট হয়তো ‘সত্য যুগে’ সত্য ছিল! কিন্তু, এখন আর এই প্রবাদ বাক্যের কোনও মূল্য নেই কারও কাছে। প্রচুর মা আজও হয়তো তাঁর সন্তানদের জন্য নিজের প্রাণ বলিদান করতে পারেন। কিন্তু, এমনও অনেক মা আছে যারা নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বলিদান দেয় সন্তানদের। সেই রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ের মানকুর্দ এলাকায়। টাকার জন্য নিজের নাবালিকা মেয়েকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। মায়ের এই কুকর্মের প্রতিবাদ করে দাদাকে সবকিছু জানিয়ে ছিল মেয়েটি। কিন্তু, রক্ষকই যেখানে ভক্ষক সেখানে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে! এই কথাই ফের সত্যি হয় নির্যাতিতার জীবনে। মায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাকে ধর্ষণ করে নিজের দাদা। শুধু তাই নয়, গলায় তলোয়ার ধরে হুমকি দেয় এই কথা কাউকে জানালে তাকে খুন করবে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার রাতে পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটি। আর তার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার তার মা, দাদা ও স্বামী-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব মুম্বইয়ের মানকুর্দ থানার পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জোর করে এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে দিয়েছিল তার মা। কিন্তু, অতিরিক্ত যৌন অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতনের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ফের পূর্ব মুম্বইয়ের বাড়িতে ফিরে আসে সে। এরপর কিছুদিন সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু, কয়েকমাস যেতেই নিজের পুরনো মূর্তি ধারণ করে তার মা। একটি দালালের কাছে তাকে দেহব্যবসায় নামানোর জন্য রেখে আসে।
মেয়েটির অভিযোগ, এরপর থেকেই ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে লাগাতার যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করে ওই দালাল। আর ওই বৃদ্ধ যখন থাকত না তখন শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত তার স্বামী ও ওই দালাল। আপত্তি করলে মারধর করত। অনেকদিন ধরে এই অত্যাচার সহ্য করার পর সমস্ত ঘটনার কথা নিজের দাদাকে খুলে বলে সে। এই বিপদ থেকে বাঁচানোর আবেদন জানায়। কিন্তু, বাঁচানো তো দূর অস্ত! এই সুযোগে নিজের বোনকেই ধর্ষণ করে ওই কীর্তিমান যুবক। তারপর গলায় তলোয়ার ধরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা ও পকসো আইনে মামলা চলছে। নিখোঁজ থাকা আরেক অভিযুক্ত ৬০ বছরের ওই বৃ্দ্ধের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.