সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন ও করোনা ভাইরাসের সাঁড়াশি চাপে অতিকষ্টে দিন গুজরান করছেন মুম্বইয়ের যৌনপল্লির কর্মীরা। এনজিও-র সাহায্যে মিলছে দুবেলার অন্ন। দেশের বাকি গৃহবন্দিদের মতই বিশ্ব থেকে করোনা মুক্ত হওয়ার প্রার্থনা তাদের কন্ঠে।
সন্ধে নামলেই সেজে উঠত মুম্বইয়ের কামাঠিপুরার রাস্তা। সাঁঝবাতির আলোর থেকেও এখানের রাতের জীবন অনেক বেশি ঝলমলে। দিনের সব কাজের চেয়েও ব্যস্ততা থাকে মুম্বইয়ের যৌনপল্লির রাতের পরিবেশ। কিন্তু শেষ এগারো দিনের অভিজ্ঞতা মুছে দিয়েছে সেই ইতিহাস। খাঁ খাঁ করছে মুম্বইয়ের কামাঠিপুরার যৌনপল্লির অলিগলি। যেই রাস্তায় এক সময় টাকা উড়ত আজ সেই এলাকারই কর্মীরাই দিন গুজরান করছেন অন্যের সাহায্যে। লকডাউন ও করোনা ভাইরাসের জোড়া ফলায় চাপের মধ্যে পড়ে রয়েছেন মুম্বই যৌনপল্লির কর্মীরা। জনসাধারণের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ব্রাত্য থেকে গেছেন কামাঠিপুরার যৌন কর্মীরা। তাদের কাছে রেশন কার্ড না থাকায় জীবন ধারণের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মেটাতে তাঁরা এখন এনজিও কর্মীদের উপরেই নির্ভরশীল। এনডিও কর্মীরাই তাদের দুবেলার খাবারের ব্যবস্থা করছেন। কমন কিচেন থেকে খাবারের প্যাকেট নিয়ে তাঁরাই পৌঁছে দিচ্ছেন যৌন কর্মীদের কাছে। সাই এনজিও-র আধিকারিক অজিত বন্দেকার জানান,” বাকি সমস্ত জায়গা ছেড়ে আমরা কামাঠিপুরার যৌনপল্লিতে খাবার বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আমরা না এলে ওরা খেতেই পেত না। পুলিস ওদের এই এলাকা থেকেই বেরতে দিচ্ছেন না।” এক যৌন কর্মীর কথায়,”লকডাউনে আমরা রেশনও পাচ্ছিনা। এনজিও-র কর্মীরা সাহায্য না করলেও আমরা থেকেও পেতাম না।” আরেকজন যৌন কর্মী সরকারকে তাদের জন্য কিছু প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবি জানান।
Maharashtra: Sex workers in Kamathipura, Mumbai are facing difficulties in meeting day-to-day needs of themselves & their families amid #CoronavirusLockdown. One of the workers says, “We are not getting any ration, we only get to eat what is given to us by NGOs”. pic.twitter.com/XQ84InwZ4p
— ANI (@ANI) April 6, 2020
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর মধ্যে যে অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলছে তাতে জেরবার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে মুম্বইয়ের ওকহার্ড হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা দেশে চার হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭ জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.