Advertisement
Advertisement
Mumbai man

জীবন বাজি রেখে বাঁচানো শিশুটির পরিবারকেই পুরস্কারমূল্যের অর্ধেক দিলেন সেই রেলকর্মী

সাহসিকতার জন্য ওই কর্মীকে পুরস্কৃত করছে রেল।

Mumbai Railway worker Mayur Shelke share his price money with the boy he saved । Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:April 22, 2021 1:34 pm
  • Updated:April 22, 2021 8:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দিন ধরেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল (Viral video) মুম্বইয়ের (Mumbai) এক যুবক। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে এক শিশুকে বাঁচিয়ে সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এবার জানা গেল আরও এক তথ্য। যা থেকে বুঝিয়ে দিল রিয়েল লাইফের ‘হিরো’ ময়ূর শেলকের হৃদয় কত বড়! তাঁর সাহসিকতার জন্য রেলের (Indian Railways) তরফে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আর তা জানার পরই ময়ূর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, পুরস্কারের অর্থের অর্ধেকটা তিনি তুলে দেবেন ওই শিশুটির পরিবারের হাতেই।

কয়েক দিন আগে গোটা দেশ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিল ময়ূরকে। স্বয়ং রেলমন্ত্রী ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন। ঠিক কী ঘটেছিল? মায়ের সঙ্গে যেতে যেতে একটি শিশু পা পিছলে রেললাইনে পড়ে যায়। সেই সময় ওই লাইনে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন এগিয়ে আসছিল। ট্রেনটি ওই স্টেশনে দাঁড়ানোর কথাও ছিল না। ফলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা ট্রেনটিকে এত কম সময়ে থামানো সম্ভব ছিল না চালকের পক্ষে। শিশুটির দিকে সাক্ষাৎ ‘মৃত্যু’ এগিয়ে আসছে দেখতে পেয়ে দৌড় শুরু করেন ময়ূর নামের ওই রেলকর্মী। দ্রুত শিশুটির কাছে পৌঁছেও যান। আগে তাকে প্ল্যাটফর্মে তুলে পরে নিজে উঠে আসেন। তাঁর প্ল্যাটফর্মে উঠে আসার এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে গা ঘেঁষে দ্রুতগতিতে বেরিয়ে যায় ট্রেনটি। কয়েক মুহূর্ত এদিক ওদিক হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যায় শিশুটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: টিকা নেওয়ার পরেও সংক্রমিত হয়েছেন কেউ কেউ, এই প্রথম মেনে নিল সরকার]

রেলে পয়েন্টম্যান হিসেবে কাজ করা ময়ূরকে তাঁর সাহসিকতার জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল। কিন্তু সেই টাকার অর্ধেক টাকা তিনি দিতে চান শিশুটিকেই। তিনি জানিয়েছেন, ওই শিশুটির পরিবার খুবই দরিদ্র। তার মা সবজি বিক্রি করে কোনও মতে সংসার চালান। তাই পুরস্কারের পুরো অর্থই তিনি ওই পরিবারকেই দেবেন।

কী করে ওই মুহূর্তে সাহসে ভর করে তিনি এগিয়ে যেতে পারলেন ট্রেনটির দিকে? ময়ূর জানাচ্ছেন, কিছুক্ষণের জন্য তিনিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরই দ্রুত দৌড়তে থাকেন শিশুটিকে বিপন্মুক্ত করার জন্য। ওই মুহূর্তে জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে খুব যে বেশি দূরত্ব ছিল না তা মেনে নিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: রামনবমীতে অনন্য নজির, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাম মূর্তি তৈরি করলেন ওড়িশার শিল্পী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement