সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা শার্ট।চোখে কালো চশমা।’ট্রিগার হ্যাপি’। মায়ানগরী মুম্বইয়ের অন্ধকার জগতের ত্রাস এঁরা। বলিউডের কল্যাণে এদের চিনতেই পারছেন। এঁরা হলেন মুম্বই পুলিশের ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’। এমনই এক বিতর্কিত ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ প্রদীপ শর্মা।গ্যাংস্টারদের নিকেশ করে শান্তি ফিরে এনে প্রশংসা যেমন কুড়িয়েছেন তেমনি জুটেছে বিতর্ক ও অভিযোগ। বহুদিন পুলিশ ফোর্স থেকে বরখাস্ত থাকার পর বুধবার ফের তাঁকে ফের পদে বহাল করে মহারাষ্ট্র সরকার।
[সংবাদপত্রের নিখোঁজ পাতার সূত্রেই কিনারা ‘বিলিয়ন ডলার’ মার্ডার কেসের]
জানলে চমকে যাবেন, এক-দুজন নয় একেবারে ১১৩ জন কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে নিকেশ করেছেন মুম্বই পুলিশের সিনিয়র ইন্সপেক্টর প্রদীপ শর্মা। তাঁর খতমের তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত মাফিয়া লখন ভাইয়া। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের দলের লোক ছিল লখন। তারপরই ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ফেক এনকাউন্টার’ করার অভিযোগ উঠে। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তকারীরা জানান, ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শর্মার। এবং দাউদের নির্দেশেই লখনকে খতম করেন তিনি। তারপর ২০০৬ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ২০০৮ সালে পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাতেও দমে যাননি প্রদীপ শর্মা। মুম্বই পুলিশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘মহারাষ্ট্র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের’ দ্বারস্থ হন তিনি। দীর্ঘদিন চলা মামলার শেষে ২০০৯ সালে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ট্রাইবুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে যায় মহারাষ্ট্র সরকার। লখন ভাইয়া ‘ফেক এনকাউন্টার’ মামলা চলায় তাঁকে পুনর্বহাল করেনি মুম্বই পুলিশ। অবশেষে ২০১৩ সালে প্রদীপ শর্মাকে নির্দোষ হিসেবে মুক্তি দেয় আদালত। তারপরই পদ ফেরত পান তিনি।
[এবার সরাসরি ভারতে ঢুকে হামলার ছক লালফৌজের, সতর্কতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের]
জীবনে অনেক লড়াই লড়েছেন ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ প্রদীপ শর্মা। বন্দুকের ট্রিগারে আঙুল রেখে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন। এবার জিতে গেলেন অন্য একটা লড়াই। হারানো মর্যাদা ফিরে পেয়ে সমাজবিরোধীদের বুকে ত্রাস সৃষ্টি করতে ফিরে এসেছেন ‘সুপার কপ’ প্রদীপ শর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.