সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগের ঘটনা। নিজের ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় এফআইআর করেছিলেন পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের বাসিন্দা ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। নিজের ছেলের হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা এক মহিলাও। তবে আইন-আদালতের ধার ধারেননি তিনি। অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রীতিমতো লোক লাগিয়ে ছেলেকে খুন করেছে রজনী নামের ওই মহিলা। ঘটনায় রজনী-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বইয়ের ভাসাই থানার পুলিশ। জেরায় ওই মহিলা নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মৃতের নাম রামচরণ রামদাস দ্বিবেদী। মদ ও যৌনতায় আসক্ত ছিল সে। পুলিশের দাবি, নিজের যৌন লালসা মেটানোর জন্য বারো জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে রামচরণ। রেহাই পাননি তাঁর মা ও সৎমাও। লাগাতার যৌন নিগ্রহ সহ্য করতে না পেরেই ছেলে রামচরণকে খুনের পরিকল্পনা করে রজনী নামে ওই মহিলা। মায়ের সঙ্গে খুনের ষড়যন্ত্রে শামিল হয় ওই মহিলার বড় ছেলে সীতারামও। রামচরণকে খুন করার জন্য কেশব মিস্ত্রি ও রাকেশ যাদব নামে দুই ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গত ২০ আগস্ট রাতে মিথ্যা কথা বলে রামচরণকে একটি টেম্পোয় চাপিয়ে ভাসাই নিয়ে যায় সীতারাম, কেশব ও রাকেশ। সেখানে গলার নলি কেটে রামচরণকে খুন করার পর, তাঁর দেহ খনিতে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
[মন্দিরের প্রসাদ কতটা স্বাস্থ্যকর? আরটিআই রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য]
২১ আগস্ট রামাচরণের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুম্বই, থানে, নবি মুম্বই-সহ বিভিন্ন থানায় মৃতদেহের ছবি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর ভায়ান্দর থানায় মৃতদেহের ছবি দেখে, রামচরণকে শনাক্ত করেন এক মহিলা। এরপরই রামাচরণের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে রামাচরণের মা রজনী। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন ওই মহিলা। রজনী-সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[ডাক্তারিতে সুযোগ না পাওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারল স্বামী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.