সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার থেকে মুম্বইতে বন্ধ থাকবে মদের দোকান। লকডাউনের তৃতীয় পর্বে বেশ কিছু ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মদের দোকান খোলার অনুমতি দিলে মাত্র এতদিনেই মুম্বইবাসী শিকেয় তোলে সামাজিক দূরত্ব। তাই বাধ্য হয়ে দেশের বাণিজ্য নগরীতে মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চড়া রোদ। কুছ পরোয়া নেহি। লম্বা লাইনে গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সকলে। এই লাইনের কোনও শেষ নেই। সামাজিক দূরত্ব, সেটা আবার কী? লকডাউনের তৃতীয় পর্বে মদের দোকান খোলার প্রথম দিনেই এই চিত্র ধরা পড়েছে বাণিজ্য নগরীতে। দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও অবশ্য একই চিত্র ধরা পড়েছে। তবে মুম্বইয়ের চিত্র প্রশাসনের কালে চিন্তার ভাঁজকে দীর্ঘ করেছে। তাই আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় মুম্বই প্রশাসন। বুধবার থেকেই মদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যালিটি (BMC)। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যালিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, “খাদ্যশষ্য, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, ওষুধের দোকানা খোলা থাকবে কিন্তু মদের দোকান খোলা হবে না।”
মুম্বই পুলিশ জানান, সোমবার মদের দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ ভিড় করেন। যত সময় বাড়ে ভিড় বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। কোথাও কোথাও তো জনতার সঙ্গে গণ্ডগোলও হয় পুলিশের। মদের দোকানের সামনে সরকারের তরফে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হলেও একটাও মানা হয়নি। এই ঘটনার পরে মুম্বই পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় শহরের সব জায়গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপর রাতে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যালিটির আধিকারিকরা এই সিদ্ধান্ত নেন। রাতেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, বুধবার সকাল থেকে আর মদের দোকান খুলবে না মুম্বইয়ে। জানা গিয়েছে, শুধু মদের দোকান নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাদ দিয়ে যে সব পরিষেবার উপর ছাড় দেওয়া হয়েছিল, সব ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। বিএমসির তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনে মুম্বইতে অতিরিক্ত ছাড়া দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ মুম্বইতে এখনও সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। যতদিন না পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে, ততদিন এইসব পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র মুম্বইয়ের ১০ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যাটা রাজধানী দিল্লির দ্বিগুণেরও বেশি। এতরকমের ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশের বাণিজ্যনগরীতে এই অবস্থা হওয়ায় চিন্তায় প্রশাসন। তাই এইসব কঠোর পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.