Advertisement
Advertisement
gaumutra

করোনা থেকে বাঁচার চেষ্টা, স্যানিটাইজারের বদলে গোমূত্র ব্যবহার করছে ইসকনও

ওটা ফোটানো হয়েছিল, দাবি কর্তৃপক্ষের।

Juhu Iskcon temple uses 'distilled cow urine' in place of hand sanitizer
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 17, 2020 2:57 pm
  • Updated:March 17, 2020 2:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। সচেতন করার পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের চিকিৎসাও করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরও কমছে না আতঙ্ক। আর এর জেরেই নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে মানুষ। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই প্রাথমিকভাবে স্যানিটাইজারের ব্যবহার হচ্ছে। আর অনেক জায়গাতেই যোগানের থেকে চাহিদা বেশি থাকায় অচিরেই বাজার থেকে তা উধাও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজারের বদলে গোমূত্র ব্যবহার করছে মুম্বইয়ের জুহু এলাকায় অবস্থিত ইসকন (Iskcon) মন্দির। এই ঘটনার কথা একটি ছবি-সহ টুইটারে পোস্ট করেন কেরলের এক কংগ্রেস নেতা রাজু পি নায়ার। তারপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করছেন নেটিজেনরা।

বিষয়টির সূত্রপাত হয় রবিবার। কেরলের এক কংগ্রেস নেতা রাজু পি নায়ার মুম্বইয়ের এক বন্ধুর ডাকে জুহুর ইসকন মন্দিরের ভিতরে থাকা গোবিন্দ রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন। রেস্তরাঁয় ঢোকার মুখে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর হাতে একটি স্যানিটাইজারের মতো লিকুইড জিনিস স্প্রে করেন। তার থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এর ফলে তাঁর সন্দেহ হয়। তখন নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছ থেকে জিনিসটি কী তা জানতে চান। তাঁরা জানান, ওটা গোমূত্র। পরে ওই ইসকন মন্দির থেকে ফিরে এই ঘটনার কথা ছবি-সহ টুইট করেন ওই কংগ্রেস নেতা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে করোনার বলি বৃদ্ধ, দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ ]

 

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে জুহুর ওই ইসকন মন্দিরে যান সাংবাদিকরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইসকন কর্তৃপক্ষ কী বলতে চাইছেন তা জানতে চান। এর উত্তরে কর্তৃপক্ষের তরফে পারিজাত দেবী দাসী জানান, ইসকন মন্দিরের মেনগেট ও তার ভিতরে থাকা গোবিন্দ রেস্তরাঁর ভিতরে স্যানিটাইজার রাখা হয়েছিল। কিন্তু, রবিবার সকালেই তাদের কাছে থাকা স্টক ফুরিয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে রেস্তরাঁর ভিতরে স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেও বাইরের গেটে ‘ফোটানো গোমূত্র(গোর্য়াক)’ স্যানিটাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গোমূত্র ফোটানোর পর তার থেকে ক্ষতিকারক জিনিসগুলি উধাও হয়ে যায়। তারপর সেটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ক্যানসার প্রতিরোধী দ্রব্যে পরিণত হয়। পাশাপাশি এটি ব্যবহার করার জন্য আমরা কাউকে জোর করছি না। যাঁরা এটা ব্যবহার করতে চাইছেন না তাঁরা বাথরুমে গিয়ে সাবান ব্যবহার করছেন।

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক: পর্যটকদের জন্য বন্ধ হচ্ছে তাজমহল, লালকেল্লা-সহ দেশের সমস্ত সৌধ]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement