ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নয়ের দশকের রাম-জন্মভূমি উন্মাদনা। এবারও নেতৃত্বে ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’। বৃহস্পতিবার, ভিএচপি ঘোষণা করেছে, ২০১৮-এর মধ্যেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। এর জন্য একটি ‘অ্যাকশন প্লান’ বানানো হচ্ছে।
‘দিল্লি ম্যায় মোদি আউর অযোধ্যা ম্যায় যোগী’ এই জিগির তুলে এবার রাম মন্দির ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভিএচপি। ‘রাম নামের’ বলেই ২০১৪-এ দিল্লির দরবার দখল করে গেরুয়া শিবির। এবারও ২০১৯-এর নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে ভরসা সেই রামই। ফলে হিন্দুত্বের জিগির তোলা সংগঠনগুলি কিছুটা আস্কারা পাচ্ছে বলেই অভিযোগ। এমনই পরিস্থিতিতে সুর চড়িয়েছে ভিএচপি। সংগঠনটির মুখপাত্র সুরেন্দ্র জৈন জানান, যেভাবেই হোক না কেন ২০১৮-র মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হবেই। ভুবনেশ্বরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এই বিষয়ে সংগঠনের শীর্ষ কর্তারা আলোচনা করছেন। চলতি মাসেই রাম মন্দির ইস্যুতে কার্যপন্থা ঠিক করতে তিনদিনের বৈঠকে বসবে সংগঠনের ‘সেন্ট্রাল ম্যানেজিং কমিটি’।
অভিযোগ, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসায় বলীয়ান হয়েছে হিন্দুত্ব ব্রিগেড’। ক্রমশ বাড়ছে গোরক্ষকদের তাণ্ডব। ছড়াচ্ছে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’। তবে রাজনৈতিক তরজার আড়ালে অনেক হিন্দুই আবার রাম মন্দির চাইছেন। এমনকি রাম মন্দিরের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডও। এছাড়াও ইউপিএ আমলে দেশ জুড়ে চলা গরু পাচার চক্র ও অবৈধ কসাইখানার বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য ইশরাত জাহানের মতো সন্ত্রাসবাদীর সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন কংগ্রেস দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এদিন সুরেন্দ্র জৈন বলেন, বৈঠকে জেহাদি সন্ত্রাস ও বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিয়েও আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দাবি করেছিলেন, ২০১৮ সালে দিওয়ালির মধ্যেই অযোধ্যায় তৈরি হয়ে যাবে রাম মন্দির। ইতিমধ্যে ওই বিতর্কিত স্থাপত্যের নির্মাণে রাজস্থানের ভরতপুর থেকে ‘রামভক্ত’রা পাথর পাঠিয়েছেন। তবে আস্থা ও ভক্তির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেওয়া ধর্মপ্রাণ মানুষকে হাতিয়ার করে রাজনীতির যুদ্ধে নামছে শাসক থেকে বিরোধীরা, তা স্পষ্ট।
[সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাঘ ঘুম কেড়েছে সুন্দরবনের গ্রামে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.