সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের সমস্যা নয়, সারা দেশের সমস্যা। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়ার কারণ হিসাবে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কথা তুলে ধরা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, গতকালই জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকে দায়ী করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তার পালটা দিয়েছিলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
আগামী বছরই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে যাবে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) এমন রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরে দেশের জনবিস্ফোরণ নিয়ে সরব হয়েছেন বেশ কিছু নেতা। সেই প্রসঙ্গেই একটি সংবাদসংস্থাকে নকভি জানিয়েছিলেন, “জনবিস্ফোরণের সমস্যাকে কোনও দেশই এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই অধিকাংশ দেশই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ করেছে। তার ফলে সাফল্য এসেছে সেই দেশগুলিতে। সেখানকার সরকার এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন সাধারণ মানুষ। তার ফলেই জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে রাশ টানা গিয়েছে।”
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী আরও যোগ করেছেন, “জনবিস্ফোরণ সারা দেশের সমস্যা। একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অসুবিধা হচ্ছে এমন নয়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে লাভ নেই। তাতে সমাজের স্বার্থ বিপন্ন হয়।” প্রসঙ্গত, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, “কোনও একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির জনঘনত্ব নির্বিচারে বাড়তে দেওয়া যায় না। এরকম কিছু হলে সচেতনতামূলক প্রচারসূচি চালানো উচিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে, নচেৎ ভারসাম্যহীনতা দেখা দেবে, যা সামাল দেওয়া যাবে না।”
তার কড়া জবাব দিয়ে ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) বলেছিলেন, মুসলিমরাই ভারতের সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন। তাছাড়া মুসলিম পরিবারে সন্তান জন্মের হারও আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন ওয়েইসি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে কোনও আইনের প্রয়োজন নেই। সেই প্রসঙ্গ টেনে ওয়েইসি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.