সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা-আতঙ্ক ও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ার জোড়া ফলায় বিদ্ধ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries)। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে, এবার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তৈল শোধনাগারের কর্মীদেরও বেতনে কাটছাঁট করতে হল। ১০ থেকে ৫০ শতাংশ কমল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের উচ্চপদস্থ কর্তাদের বেতন। সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) নিজেও বেতন নেওয়া বন্ধ করলেন সংস্থা থেকে।
করোনার মার যে শুধু গরিবদের উপরই নেমে এসেছে তেমনটা নয়। বিশ্বব্যাপী লকডাউনের জেরে ভুগতে হচ্ছে তথাকথিত ধনকুবেরদেরও। করোনা আতঙ্কের জেরে আর্থিকভাবে ভারতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। লকডাউনে গাড়িঘোড়া বন্ধ। ফলে চাহিদা নেই তেলের। এতেই চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আম্বানির তেলের ব্যাবসা। গত ত্রৈমাসিকে ৬,৩৪৮ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে সংস্থার। যা কিনা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বনিম্ন। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খরচ কমানোর দিকে ঝুঁকছে রিলায়েন্স। খরচ কমানোর প্রক্রিয়ায় প্রথমেই হাত পড়েছে সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের বেতনে।
রিলায়েন্সের তরফে কর্মীদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংস্থার যে সমস্ত কর্মী বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি পান তাঁদের ১০ শতাংশ বেতন কাটা হবে। এবং সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের বেতন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটা হবে। তবে সাধারণ কর্মীদের (১৫ লক্ষের কম বেতন) কোনও বেতন কাটা হবে না। সংস্থার কর্ণধার মুকেশ আম্বানি গোটা বছর কোনও বেতন নেবেন না। বেতন হিসেবে নিজের সংস্থা থেকেই ১৫ কোটি টাকা করে নিয়ে থাকেন তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই শিল্পপতিদের অনুরোধ করেছিলেন কর্মীদের বেতন না কাটতে। কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীই প্রথম বেতন কাটলেন। বেতন কাটার পাশাপাশি কর্মীদের বার্ষিক বোনাস এবং ভাল পারফরম্যান্সের কোনও পুরস্কারও আপাতত দেওয়া হবে না। অর্থনৈতিক মহলের আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও অনেক সংস্থাই রিলায়েন্সের পথে হাঁটতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.