Advertisement
Advertisement

Breaking News

নাগরিক অধিকারের মৃত্যু ঘটাবে আধার, সুপ্রিম কোর্টে দাবি আইনজীবীর

'যদি কেউ নিজের আঙুলের ছাপ না দিতে চান, সেক্ষেত্রে তাঁকে বাধ্য করা হবে কীভাবে?'

much-anticipated final hearing on the legality of Aadhaar began in the Supreme Court
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 18, 2018 3:24 am
  • Updated:January 18, 2018 3:36 am  

দেবশ্রী সিনহা: আগামী দিনে দেশের সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবে আধার। যা ইতিবাচক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলে যতখানি ভাল, ততটাই বিপজ্জনক এবং সর্বগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে নেতিবাচক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চকে জানালেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্যাম দিওয়ান। আধার কার্ড কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? এই প্রশ্ন তুলে অজস্র জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রত্যেকটিরই মূল বক্তব্য ছিল একটাই। আধার কার্ড নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা।

[মহিলাদের অন্তর্বাস চুরি করে চম্পট যুবকের, হুলস্থুল বেঙ্গালুরুতে]

বুধবার তেমনই ২৭টি মামলার একসঙ্গে শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। যার বিচারের দায়িত্বে রয়েছে দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সেখানেই প্রবীণ আইনজীবী দিওয়ান বলেন, আধার কার্ডের তথ্য দেশের মানুষের নাগরিক অধিকারের মৃত্যু ঘটাতে পারে। কারণ আধার হল এমনই এক বিশাল বৈদ্যুতিক জট যার পাকেচক্রে পড়ে নাগরিক জীবনের বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসে যাবে সরকারের হাতে। যার ব্যবহার করে নাগরিক মানসিকতাকে প্রভাবিত করতে পারবে সরকার। এবং নিজের স্বার্থে প্রয়োজন মাফিক ব্যবহারও করতে পারবে।

Advertisement

যদিও দিওয়ানের এই প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চায়, “সরকারকেও তো জানতে হবে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য খরচ করা অর্থ সঠিক খাতে ব্যবহার হচ্ছে কি না। এই অধিকার কি সরকারের নেই? তাছাড়া আধার কার্ড সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে সেগুলি যদি জিতে যায় মামলাকারীরা, তা হলে কী হবে? এযাবৎ সংগৃহীত নাগরিকদের সমস্ত বায়োমেট্রিক তথ্য কি নষ্ট করে দেওয়া হবে?” উত্তরে দিওয়ান বলেন, দেশের মানুষের কাছে প্রায় জোর করে যেভাবে আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি নেওয়া হচ্ছে তা এক কথায় ব্যাক্তিগত অধিকারের খর্ব করার নামান্তর। দিওয়ান প্রশ্ন তোলেন, “যদি কেউ নিজের আঙুলের ছাপ না দিতে চান, সেক্ষেত্রে তাঁকে বাধ্য করা হবে কীভাবে?” তিনি বলেন, একদিকে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয় বলা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রায় প্রত্যেক সরকারি কাজের জন্য আধারকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তা সে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট হোক বা ফোন বা ইনসিউরেন্স। এই দ্বিচারিতা মেনে নেওয়া যায় না।

[সৈকতের ধারে উদ্ধার দক্ষিণী অভিনেতার দেহ, রহস্যমৃত্যুর কারণ ঘিরে ধন্দে পুলিশ]

তাছাড়া আধার কার্ডের তথ্য যে ফাঁস হয়ে কোনও ব্যক্তিকে বিপদে ফেলবে না তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? সুপ্রিম কোর্টে আধার সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলার শুনানি ছিল, তার মূলে ছিল কয়েকটি প্রশ্ন। এক, নাগরিক জীবনে আধার কার্ড কতখানি প্রয়োজনীয়? দুই, ভারতের সংবিধান নাগরিকদের যে গোপনীয়তার অধিকার দিয়েছে, আধার কার্ড কি তা লঙ্ঘন করে? তিন, দেশের নাগরিককে কি বাধ্য করা যেতে পারে আঙুলের ছাপ এবং রেটিনা স্ক্যানের তথ্য দিতে? চার, আয়কর রিটার্ন বা ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট তথ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আধার যোগ করতেই বা তাঁদের কেন বাধ্য করা হবে? পাঁচ, আধার কার্ডের জন্য নেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য বা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? এই সব প্রশ্ন এবং আরও অজস্র প্রশ্নের বিচার করতেই বুধবার থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া।

[গোমূত্রর উপরে কেন ১৮% জিএসটি, প্রতিবাদে সরব বাবা রামদেব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement