সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ লক্ষ টাকা পণ (Dowry) চেয়েছিল স্বামী। বাপের বাড়ির আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় দিতে পারেননি মহিলা। ফলস্বরূপ WhatsApp মেসেজই তাঁকে ‘তালাক’ দিল স্বামী। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। প্রসঙ্গত, দেশে তিন তালাক (Triple Talaq) প্রথা নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। সেই আইনকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের তিন তালাকের পথে হাঁটল এক ব্যক্তি।
ভোপালের (Bhopal) কোহেফিজা থানায় সিঙ্গাপুরনিবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। তাঁর বাপের বাড়ি ভোপালে। তবে তিনি বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলের কর্মী। সম্প্রতি তিনি বাবা-মায়ের কাছে ভোপালে এসেছেন। অভিযোগপত্রে ওই মহিলা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার WhatsApp মেসেজে তাঁকে তাঁর স্বামী তিন তালাক দিয়েছেন। ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে ওই মহিলার সঙ্গে কোহেফিজা থানা এলাকার বাসিন্দা ফৈয়জ আলম আনসারির বিয়ে হয়েছিল। এরপর ২০১৪ নাগাদ বাবা-মাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যান ফৈয়াজ। দুই সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ফৈয়াজ এখন সিঙ্গাপুর (Singapore) ও ভারত- দুই দেশেরই নাগরিক।
কোহেফিজা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিল বাজপেয়ী জানান, পণের ২৫ লক্ষ টাকার জন্য এই মহিলার উপর তাঁর স্বামী অকথ্য অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তারপরই সিঙ্গাপুরে চলে যান স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই অভিযোগ সম্পর্কে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বর্বরোচিত এই প্রথা বিলোপের জন্য অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এর বিচার হবেই হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.