সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়োজন পড়েছিল বড় শহরে থাকার। তাই মা-বাবা পরিবার পরিজন ছেড়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের কাছে আওয়াধপুরে একটি হস্টেলে থাকতে শুরু করেছিল মেয়েটি। সে একা নয়, তাঁর মতো আরও অনেক মেয়েকেই থাকতে হত ওই হস্টেলে। কিন্তু যার ভরসায় বাড়ি ঘর ছেড়ে নিজের শহরে গিয়েছিলেন ওই যুবতী সেই হস্টেল মালিক অশ্বিনী শর্মাই তাদের জন্য রাবণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হল। ভোপালের সেই হস্টেলে মেয়েদের আটকে রেখে শারীরিক মানসিক সবরকমের অত্যাচার চালাত অশ্বিনী। লাগাতার মেয়েদের ধর্ষণ করত সে। আর এই অশ্বিনী শর্মা আর কেউ নন, প্রভাবশালী স্থানীয় আরএসএস নেতা।
গত সপ্তাহেই আরএসএস নেতার ওই হস্টেল থেকে প্রথম পালিয়ে আসে এক মুক ও বধির যুবতী। তার পরই একে একে ফাঁস হতে থাকে তাঁর কাণ্ডকারখানা। গত এক সপ্তাহে অশ্বিনী শর্মার হস্টেল থেকে মোট চারজন মহিলা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই একজন ভোপাল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগে করে গতকাল। সেই মহিলা জানিয়েছেন, হস্টেলে মেয়েদের আটকে রেখে জোর করে পর্ন দেখানো হত। তাঁকে ৬ মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে। যে চারজনকে মালিকের পছন্দ হয়েছিল সেই চারজনকে আলাদা বাড়িতে রাখা হত। তাঁরা যাতে কোনওভাবেই পালিয়ে যেতে না পারেন তেমনই বন্দোবস্ত করেছিল অশ্বিনী শর্মা নামের ওই বিজেপি ঘনিষ্ঠ আরএসএস নেতা। নির্যাতিতার দাবি, অশ্বিনী ইচ্ছেমতো তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত।
ওই নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে গতকালই অশ্বিনী শর্মা নামের ওই হস্টেল মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অশ্বিনীর গ্রেপ্তারির পর মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করে অশ্বিনী শুধু আরএসএস প্রচারকই নন, রীতিমতো স্থানীয় বিজেপি হেভিওয়েটদের ঘনিষ্ঠ। স্থানীয় বিজেপি নেতারা অবশ্য বলছেন, হস্টেলকাণ্ডের মতো একটা মানবিক ইস্যুতে অকারণে রাজনীতি টেনে আনছে কংগ্রেস। মুজাফ্ফরপুর হোম কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিপাকে বিজেপি। বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে সুর ক্রমশ চড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে ভোপাল কাণ্ড নতুন করে অস্বস্তি বাড়াবে বিজেপি শিবিরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.