সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ঘোড়া কেনাবেচার খেলায় নতুন মোড়। এবার বিজেপি বিধায়কদের ভয় দেখিয়ে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়ে এতটাই উদ্বিগ্ন যে, তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দাবি করেছে।
মধ্যপ্রদেশের দাপুটে বিজেপি নেতা রামেশ্বর শর্মা অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, বিজেপি, বিএসপি, সমাজবাদী পার্টি, নির্দল এমনকী, যে সমস্ত কংগ্রেস বিধায়ক কমলনাথের বিরোধী তাঁদের প্রত্যেকের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের মধ্যপ্রদেশ পুলিশের উপর আস্থা আছে, কিন্তু আপাতত পুলিশ সরকারের চাপের কাছে মাথা নত করে কাজ করছে। যা পরিস্থিতি তাতে আমারা বিধায়কদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চাইতে বাধ্য হচ্ছি।
কিন্তু, বিজেপি নেতার এই উদ্বেগের কারণ কী? গেরুয়া শিবিরের দাবি, পুলিশকে ব্যবহার করে বিজেপি বিধায়কদের ভয় দেখানো হচ্ছে, তাঁদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কংগ্রেস যোগ দেওয়ানোর জন্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক সঞ্জয় পাঠক অভিযোগ করেছেন, তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা করার চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। একইরকম অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক বিশ্বাস সারংয়েরও। তাঁরা বলছেন, ‘দ্রুত কংগ্রেসে যোগ না দিলে খুন হয়ে যেতে পারি।’
তবে, এসব নাটক শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাতে। শাসক শিবিরের আটজন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই আটজনের মধ্যে জনা চারেক বিধায়ককে উদ্ধার করেছে কংগ্রেস। পরে একজন নির্দল বিধায়ক ফিরে এসে কংগ্রেসকেই সমর্থনের কথা বলেছেন। কিন্তু, এখনও নিখোঁজ তিন। আপাতত কোনওক্রমে টিকে আছে কংগ্রেস সরকার। যে তিন বিধায়ক এখনও নিখোঁজ তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে অঙ্কটা আরও জটিল হবে কংগ্রেসের জন্য। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, সেই ঘাটতি পূরণ করতেই কি জোর করে বিজেপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা চলছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.