সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসা পরম পাওয়া। সবার ভাগ্যে জোটে না। তবে কারও কারও প্রতি ভাগ্যদেবী হয়তো একটু বেশিই সহায় হন। এই যেমন মধ্যপ্রদেশের এই যুবক। একই মণ্ডপে দুই কনেকে অগ্নিসাক্ষী রেখে গলায় মালা দিলেন তিনি!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ঘটনা গত বুধবারের। মিঞা-বিবি তো রাজি বটেই, দুই থুড়ি তিন পরিবারও এমন ‘অভিনব’ বিয়েতে হাসিমুখে সম্মতি দিয়ে দেয়। ছেলে সন্দীপ উইকের জন্য রীতিমতো বউ পছন্দ করে দিলেন মা-বাবাই। আর অন্যজন পাত্রের প্রেমিকা। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে সমস্ত আচার-রীতি মেনেই পরিণয় সম্পন্ন হল। কিন্তু একই মণ্ডপে একসঙ্গে দুই কনেকে বিয়ে? এ কীভাবে সম্ভব?
আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এ কাজ করেছেন মধ্যপ্রদেশেরে বেতুলের সন্দীপ। ভোপালে পড়তে গিয়ে হোশাঙ্গাবাদ জেলার তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ধীরে ধীরে ভালবাসা নিবিড় হয়। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। আর সেই সময়ই তখন বাড়িতে তাঁর জন্য পাত্রীর খোঁজ শুরু করে দেন সন্দীপের মা-বাবা। কোয়লারি গ্রামের এক তরুণীকে বউমা হিসেবে মনেও ধরে তাঁদের। ঠিক করে ফেলেন, এই মেয়ের সঙ্গেই ছেলের বিয়ে দেবেন। কিন্তু ছেলে তো বাড়ি ফিরে সব কথা শুনে থ। তাঁর যে প্রেমিকাকেই জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই। তাহলে উপায়? সন্দীপ ও তাঁর পরিবার পঞ্চায়েতের শরণাপন্ন হয়। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়ে দেন, দুই তরুণীরই বিয়েতে আপত্তি না থাকলে উভয়কেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারেন সন্দীপ। এমন সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যায় তিন পরিবারই। ব্যস, বাকিটা তো ছিল সময়ের অপেক্ষা।
তবে গল্পের হ্যাপি এন্ডিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। আইন ভেঙে এমন কাজ করায় ঘটনার তদন্তে নেমেছে তারা। সেই সঙ্গে পুলিশের তরফে এও জানানো হয়, করোনা আবহে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু পাত্র-পাত্রী- কোনওপক্ষই অনুমতি চায়নি। তাই গোটা অনুষ্ঠান হল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.