Advertisement
Advertisement

Breaking News

Madhya Pradesh

মুসলিম সেজে কবরস্থান তৈরির নামে জমি হাতানোর অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে কাঠগড়ায় BJP

সেই ২০০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে আবাসন ও গোশালা।

MP Hindu Group allegedly used Muslim name to Build Real Estate | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 29, 2022 7:57 pm
  • Updated:October 29, 2022 8:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারপাশে মুসলিম বসতি তৈরি হবে। বানানো হবে কসাইখানা, কবরস্থান। রীতিমতো এই ভয় দেখিয়ে জলের দরে ২০০ একর জমি হাতানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খারগনে ওই বিশাল জমির উপর তৈরি হয়েছে আবাসন। রয়েছে গোশালাও। যদিও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, পুরো বিষয়টি ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যেকার বিষয়।

ঘটনার সূত্রপাত ২০০০ সালে। খারগন শহরের ছোট চাষিদের মধ্যে জমি বিক্রি করার হিড়িক পড়ে যায়। ‘তানজিম-এ-জারখেজ’ নামের একটি সংগঠন জলের দরে ২০০ একর জমি কিনে নেয়। জানা গিয়েছে, সংগঠনের মাথায় ছিলেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। খাড়গনের প্রাক্তন বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেইসময় প্রচার করা হয়েছিল মুসলিমরা বসতি তৈরি করবে। তৈরি হবে কসাইখানা ও কবরস্থান। এই আতঙ্ক ছড়িয়ে জমি কিনে নেয় সংগঠনটি। মুসলিম বসতি তৈরির খবর ছড়ালেও ওই ২০০ একর জমিতে বানানো হয়েছে ঝাঁ চকচকে আবাসন। রয়েছে গোশালাও। যা দেখে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের প্রতারিত করা হয়েছে। এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছে তারা। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এসেছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি, হাওড়া-খড়গপুর শাখায় দু’ঘণ্টা স্তব্ধ ট্রেন চলাচল]

জমি কেনার প্রক্রিয়া শেষ হতেই ২০০৭ সালে ‘তানজিম-এ-জারখেজ’ ভোল বদলে হয়ে যায় ‘প্রফেসর পিসি মহাজন ফাউন্ডেশন’। বর্তমানে সেই সংগঠনের মাথায় রয়েছেন রবি মহাজন। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা ভাল কাজের জন্যই জমিটি ব্যবহার করেছি। কোনও প্রতারণা করিনি।” রাজ্য বিজেপি সভাপতি রজনীশ আগরওয়াল জানিয়েছে, এর সঙ্গে আমাদের কোনও লেনদেন নেই। পুরোটাই ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যেকার বিষয়। তাঁদের মধ্যেকার আর্থিক লেনদেনের বিষয়।

সে কথা মানতে অবশ্য নারাজ স্থানীয় কৃষকরা। এমনই এক প্রাক্তন জমির মালিক নন্দকিশোর কুশওহা জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ একর জমি বিক্রি করেছিলাম। সেই সময় জাকির নামে এক ব্যক্তি এসে আমাদের বলেছিলেন এখানে কসাইখানা গড়া হবে। কবরস্থান তৈরি হবে। মুসলিমরা বসতি স্থাপন করবে। তাই তাদের কাছে জমি বিক্রি করে দিতে আমাদের জমি বিক্রি করতে রাজি করিয়েছিল। জনৈক ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিংভি জানিয়েছেন, আমার আত্মীয়রা ভয়ে জমি বিক্রি করে দিয়েছিল। ওরা ভেবেছিল হজ কমিটি তৈরি হবে। মুসলিমরা এখানে থাকবে। সূত্রের খবর, ১১টি সংগঠন মিলে ২০০ একর জমি কিনেছিল। অথচ মুসলিম বসতির বদলে সেখানে গড়ে উঠল ঝাঁ চকচকে আবাসন। যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, তাদের মধ্যে ভুয়ো আতঙ্ক ছড়িয়ে কম দামে জমি কিনে নিয়েছিল সংগঠনটি।

[আরও পড়ুন: ‘বিদেশ থেকে গরু আমদানির মতো চাহিদা নেই বাংলাদেশে’, বিস্ফোরক তথ্যমন্ত্রী হাছন মাহমুদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement