সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুগলের বিচ্ছেদের মামলায় (Divorce Case) গোয়ালিয়রের (Gwalior) একটি আদালত এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও তা ওই ব্যক্তি ঠিক মতো দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এরপর এই মামলা ওঠে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) হাই কোর্টে । হাই কোর্ট (High Court) ওই ব্যক্তিকে আদালতে বেতনের রসিদ বা স্যালারি স্লিপ (Salary Slip) পেশ করতে বলে। ওই ব্যক্তির আইনজীবী দাবি করেন, আদালতে স্যালারি স্লিপ পেশ করা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। যদিও আদালত তা মানল না। উলটে মামলায় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
এদিন এই বিষয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি জিএস আলুয়ালিয়া বলেন, আদালতের স্যালারি স্লিপ পেশ করার বিষয়টি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মধ্যে পড়ে না। যেহেতু এর যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তিকে গোয়ালিয়র আদালত মাসে ১৮ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিতে বলেছিল। স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণের জন্যে। যা তিনি নিয়মিত দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। এরপরেই এই মামলা ওঠে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে। যেখানে ওই ব্যক্তিকে আদালতে স্যালারি স্লিপ পেশ করতে বলা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে স্যালারি স্লিপ পেশ করেননি। উলটে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রশ্ন তোলে তাঁর আইনজীবী। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তিকে তাঁর নিজের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে বাধ্য করা যায় না। যদিও আদালত এই যুক্তি মানতে চায়নি। বিচারপতিদের বক্তব্য, স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করছে না আদালত। কিন্তু স্যালারি স্লিপ পেশ করার বিষয়টি এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মধ্যেও পড়ে না।
আদালত একাধিক মামলার প্রসঙ্গ টেনে বলে, এক্ষেত্রে মামলাকারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতখানি তা দেখে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলে বেতনের তথ্য জানার প্রয়োজন রয়েছে, যা ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়। এইসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, স্বামী যদি আদালতে স্যালারি স্লিপ না পেশ করেন, তবে ধরা নেওয়া হবে তিনি এই মামলায় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছেন। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মামলার অন্তিম শুনানি হবে আগামী ২০ জুনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.