সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ (Rape) করেছে সে। তবে নারকীয় কার্যকলাপে লিপ্ত হলেও সে প্রাণে মারেনি নির্যাতিতাকে। এই কথা জানিয়েএক অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত না করে তার সাজার মেয়াদ কমানোর রায় দিল মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) হাই কোর্ট। বিচারপতি সুবোধ অভয়ংকর ও বিচারপতি এসকে সিংয়ের ইন্দোর বেঞ্চ ওই ধর্ষককে যাবজ্জীবনের বদলে ২০ বছরের সাজার রায় শুনিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইন্দোরের দায়রা আদালত ওই অপরাধীকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল। এরপরই সে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত তার সাজার মেয়াদ কমানোর পক্ষেই রায় দিল।
শনিবার এই রায় দেওয়ার সময় আদালত জানিয়েছে, নিম্ন আদালতের সাক্ষ্য-পর্যালোচনায় কোনও ভুল নেই। অপরাধীর পৈশাচিক আচরণ, মহিলাদের প্রতি অপরাধীর অসম্মানের মানসিকতা এবং একটি চার বছরের শিশুকেও রেয়াত না করায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পদক্ষেপও সঠিক বলেই মনে করছে হাই কোর্ট। কিন্তু এরই সঙ্গে আদালতের বক্তব্য, যেহেতু শিশুটিকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেনি অফরাধী তাই তার যাবজ্জীবনের সাজা হ্রাস করা হল। তবে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা তাকে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ওই অভিযুক্ত যুবক নির্যাতিতার বাসস্থানের কাছেই থাকত। সে ওই শিশুকন্যার এক টাকা দিয়ে তাকে নিজের বাসস্থানের ভিতরে নিয়ে যায় ঘটনার দিন। কিন্তু মেয়েটির কান্না শুনতে পেয়ে যান তার ঠাকুমা। এরপর সেখানে হাজির হন তার বাবা। তিনি দেখতে পান ভিতরে থাকা ওই অপরাধী সম্পূর্ণ নগ্ন। তার মেয়ে সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় পড়ে সে ধর্ষিতা হয়েছে। মেয়েটি তার বাবার কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলেছে বলেও জানা যায়। শেষ পর্যন্ত সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ওই যুবককে। দেওয়া হয় যাবজ্জীহন কারাদণ্ড। যা কমিয়ে ২০ বছর করল হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.