সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী সোমবার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায়। আর ওইদিনই বিধানসভার অধ্যক্ষকে আস্থা ভোট ( floor test ) করানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল লালজী ট্যান্ডন। এর পাশাপাশি শনিবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকেও চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। করোনা ভাইরাসের কারণে একাধিক অনুষ্ঠান যখন বাতিল হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যগুলি স্কুল ও কলেজ-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে। বহুজাতিক সংস্থাগুলির বেশিরভাগই কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই রকম পরিস্থিতিতে এত তাড়াহুড়োর কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
রাজনৈতিক মহলের খবর, বিষয়টির সূত্রপাত হয় শনিবার। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরকার টিকিয়ে রাখার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। এরপরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল লালজী ট্যান্ডনের সঙ্গে দেখা করেন। রবিবারই আস্থা ভোট করানোর দাবি জানান। আর তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতিকে আগামী সোমবার আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেন। জানান, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগে তাঁর ভাষণ হবে। তারপরই যেন নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন কমল নাথ। এই পুরো প্রক্রিয়াটাই একজন পেশাদারকে ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখার নির্দেশ দেন। সোমবার আস্থা ভোট ছাড়া অন্য কোনও কাজ হবে না বলেও জানান।
রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১৭৪ ও ১৭৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই নির্দেশ দিচ্ছি যে আগামী ১৬ মার্চ সকাল ১১ টার সময় আমার ভাষণের পর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। তারপর শুধু আস্থা ভোটের কাজই হবে।
লালজী ট্যান্ডনের এই নির্দেশের পরেই রবিবার সকালে রাজস্থানের জয়পুর থেকে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করা। দলের তরফে এই বিষয়ে যেমন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেমনি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে হুইপ জারি করে প্রত্যেক বিধায়ককে মার্চের ১৬ তারিখ থেকে এপ্রিলের ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলা বিধানসভা অধিবেশনে হাজির থাকতে। এবং আস্থা ভোট হলে সরকারের পক্ষে ভোট দিতে বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.