সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এনকাউন্টার’ না ‘ভুয়া এনকাউন্টার’? এ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত৷ বিরোধীদের লাগাতার চাপ এবং পুলিশের মন্তব্যে অসঙ্গতির জেরে এবার নড়েচড়ে বসল মধ্যপ্রদেশ সরকার৷ ভোপালে সিমি সদস্যদের জেল ভেঙে পালানো এবং পুলিশের ‘এনকাউন্টার’ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্যের সরকার৷ সূত্রের খবর, হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস কে পাণ্ডের নেতৃত্বে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে৷
এদিকে, এনকাউন্টারের ভিডিওর পর এবার একটি অডিও প্রকাশ্যে এল৷ সেখানে এক পুলিশকর্মী আট সিমি সদস্যকেই মেরে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছে৷ অডিওতে পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “পাঁচজন তো মরেই গিয়েছে৷ সবাইকে শেষ করে দাও৷” কিছুক্ষণ পর ফোনে খবর দেওয়া হচ্ছে, ” স্যার, আটজনই শেষ৷” নয়া অডিওটি সামনে আসায় ফের চাঞ্চল্য ছড়াল ওই ঘটনায়৷
সিমি সদস্যদের ‘এনকাউন্টার’ নিয়ে ইতিমধ্যেই রহস্য দানা বেঁধেছে৷ দীপাবলির রাতে সিমি সদস্যরা কীভাবে ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে পালালো, সাব-জেলার এবং দুই নিরাপত্তারক্ষী তা খতিয়ে দেখছেন৷ প্রশ্ন উঠেছে, সিনিয়র অফিসারদের না জানিয়ে কেন ব্লক এ থেকে ব্লক বি-তে সিমি নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ জেলের তালা প্রতিদিন বদলানো হয়৷ তাহলে কীভাবে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড-সহ ৮জন জেলের তালা ভাঙল? ভোপালের এই জেলে মোট ২৯ জন সিমি সদস্য রয়েছে৷ সূত্রের খবর, এনকাউন্টারে নিহত আটজনের পরিকল্পনা ছিল, তারা বেরিয়ে বাকিদেরও জেল থেকে পালাতে সাহায্য করবে৷
এদিকে, মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াডের (এটিএস) কাছ থেকে দু’ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চাইল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট৷ এনকাউন্টারে নিহত আট সিমি সদস্যের মধ্যে কয়েকজনের জামিনের শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে৷ বিচারপতি সি বি সিরপুরকরের আদালতে এদিন এই শুনানি হওয়ার কথা ছিল৷ সেখানেই সদ্য নিহত সিমি সদস্যদের আইনজীবী নঈম খান জানান, “এনকাউন্টারে নিহত সিমি সদস্যদের ময়না তদন্ত রিপোর্টের কপি চেয়ে আমরা আবেদন করেছি৷ এনকাউন্টার কখন কীভাবে হয়েছে এবং কোন পরিস্থিতিতে হয়েছে, কেন পুলিশ গুলি চালিয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেখতে চেয়ে আমরা আবেদন জানিয়েছি৷ এই রিপোর্ট পাওয়ার অধিকার নিহতদের পরিবারের আছে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.