করোনা মোকাবিলায় বেনজির পদক্ষেপ, মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন ৩০ শতাংশ কমাল কেন্দ্র

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নজিরবিহীন উদ্যোগ কেন্দ্রের। দেশের সব সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বেতন ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি  (Narendra Modi) সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ভারচুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। আপাতত কেন্দ্র একটি অর্ডিন্যান্স এনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। সংসদের অধিবেশন শুরু হলেই এ সংক্রান্ত আইন আনা হবে।

Union Cabinet approves Ordinance amending the salary, allowances and pension of Members of Parliament Act, , 1954reducing allowances and pension by 30% w.e.f. 1st April, 2020 for a year. pic.twitter.com/afToRH8bfy

Advertisement

— ANI (@ANI) April 6, 2020

আরও পড়ুন:

• মমতায় ইন্ডিয়ার ‘মুখ’ দেখছেন মণিশংকর! অস্বস্তিতে কংগ্রেস
• ফের সেই বদায়ুঁ, গণধর্ষণ ও জালিয়াতির অভিযোগে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR

করোনার আবহে সোমবার মন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই ঠিক হয় আগামী এক বছরের জন্য সাংসদরা ৩০ শতাংশ বেতন কম নেবেন। সঙ্গে সঙ্গে অর্ডিন্যান্স আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সই করলেই এই অর্ডিন্যান্সটি কার্যকর হয়ে যাবে। ১ এপ্রিল থেকেই এই অর্ডিন্যান্সটি কার্যকর করতে চায় কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, আগামী ২ বছর সাংসদদের এলাকা উন্নয়নের জন্য আলাদা করে কোনও টাকা দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, আগামী ২ বছরের জন্য বন্ধ হচ্ছে এমপিল্যাডও। পেনশন এবং ভাতাও একইভাবে ৩০ শতাংশ কমানো হবে।এই টাকা দেশ গঠনের কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

The President, Vice President, Governors of States have voluntarily decided to take a pay cut as a social responsibility. The money will go to Consolidated Fund of India: Union Minister Prakash Javadekar https://t.co/ExTFqVJTMa pic.twitter.com/xubj3ObqAn

— ANI (@ANI) April 6, 2020

[আরও পড়ুন: করোনার মার, মাত্র দু’মাসে ২৮ শতাংশ সম্পত্তি কমল মুকেশ আম্বানির!]

এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadeka) বলেন, এটা সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব। একভাবে দেখতে গেলে সাংসদরা এটা ত্যাগ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপাল স্বেচ্ছায় নিজেদের বেতন থেকে সরকারি স্থায়ী তহবিলে দান করছেন। এদের বেতন প্রক্রিয়া যেহেতু অন্য, তাই এঁরা এই অর্ডিন্যান্সের আওতায় আসেন না। তবু  সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে স্বেচ্ছায় এঁরা দান করতে প্রস্তুত।