ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণপিটুনি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবক ও তাঁর মায়ের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অসমের তিনসুকিয়ায়। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের অভিযোগে ওই যুবক ও তাঁর মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে স্থানীয়রা। ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই খুন করা হয়েছে ওই দু’জনকে। সেই সময় কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অজয় তাঁতি ও যমুনা তাঁতি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই দু’জনই চা বাগানের শ্রমিক। সূত্রের খবর, ৫ জুন থেকে খোঁজ মিলছিল না অজয়ের স্ত্রী রাধিকা ও তাঁর দু’মাসের সন্তানের। ১ দিন বিভিন্ন জায়গায় সন্ধানের পর খোঁজ না মেলায় রাধিকার বাপের বাড়ির তরফে থানায় অভিযোগও করা হয়। শুক্রবার অজয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় রাধিকা ও তাঁর সন্তানের দেহ। এরপরই স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন অজয় ও যমুনা। রাধিকা ও তাঁর সন্তানকে খুনের অভিযোগ তুলে তাঁদের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা।
অভিযোগ, পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর করা ওই দু’জনকে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যমুনাদেবীর। গুরুতর আহত অবস্থায় অজয়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার অজয় ও যমুনাকে মারধরের ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যায় গোটা ঘটনা। এরপরই নিন্দায় সরব গোটা দেশ।
তবে তিনসুকিয়ার ঘটনায় উঠে আসছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের কোনও প্রমাণ ছাড়াই কেন আক্রমণ করা হল ওই দু’জনকে? গোটা ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশের সামনেই৷ তবে কি সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ অসম পুলিশ? গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুতই ঘটনার তদন্ত হবে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে। তাদের সন্ধানে শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.