সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময়ের মেধাবী ছেলেই কিনা নাম লিখিয়েছে জঙ্গিদের দলে! নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। ছেলের এমন কাণ্ডে মর্মাহত জঙ্গি আদিল ঠোকরের মা শাহজাদা বানো। ছেলের কাছে তাঁর একটাই বার্তা, আত্মসমর্পণ করো। প্রবল যন্ত্রণা থেকে পরিবারকে বাঁচাও।
ইতিমধ্যে পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। চার সন্দেহভাজনের নামও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে আদিল হোসেন ঠোকর, অনন্তনাগের বাসিন্দা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আদিলের হাত ধরেই ভূস্বর্গে ঢুকেছিল তালহা এবং আসিফ। তাদের গোপন ডেরায় লুকিয়ে রেখেছিল ২০১৮ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় পাকিস্তানে যাওয়া অনন্তনাগের বাসিন্দা আদিল ঠোকরেই। মঙ্গলবার পহেলগাঁও হামলার পরে ওই আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাথার উপরের ছাদটুকু হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন আদিলের মা।
শাহজাদা বলছেন, “২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিলের পর থেকে আদিলের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। বদগাঁওয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর ফোন বন্ধ। তিনদিন পরে আমরা নিখোঁজ ডায়রি করি।” নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ছেলের যোগ রয়েছে, মানতে পারছেন না শাহজাদা। তবে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যদি আদিল সত্যিই পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। বহুদিন আগে ‘হারিয়ে’ যাওয়া ছেলের কাছে শাহজাদার কাতর আর্জি, “তুমি আত্মসমর্পণ করো। আমাদের অন্তত শান্তিতে থাকতে দাও।”
পহেলগাঁও হামলার পর আদিলের বাবা মহম্মদ ঠাকোর, দুই ভাই জাহির এবং আর্শলামকে আটক করা হয়। আদিলের দুই তুতো ভাই এবং মা’কেও আটক করা হয়েছিল। তারপরেই শুক্রবার ভোরে আদিলের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। আপাতত এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন শাহজাদা। তিনি বলেন, “আমার বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। স্বামী-ছেলে সবাই জেলে। প্রতিবেশীরা আর কতদিন আমাকে খাওয়াবে?” নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে বাড়িতে খেতে এসেছিল আদিল। তার পালটা শাহজাদার প্রশ্ন, সেটা জানা থাকলে আদিলকে তখনই কেন আটক করা হল না? যদিও সন্দেহভাজনদের স্কেচের সঙ্গে আদিলের কোনও মিল নেই বলেই মনে করছেন শাহজাদা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.