ফাইল ছবি
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে বা ট্রেন, মেট্রো থেকে নেমেই সকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মাখছেন চটপট। বাড়ি ফিরে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাতও ধুচ্ছেন সকলে। কিন্তু এটিএম থেকে টাকা বের করে যে টাকা ধরছেন সেই টাকা স্যানিটাইজ করবেন কী করে? এমনকি আপনার বাড়ির পাশে থাকা এটিএমটি যে সম্পূর্ম জীবাণু মুক্ত তা জানলেন কী করে? সেখানেও তো থাকতে পারে করোনার মারণ জীবানু।
করোনার আতঙ্কে ত্রস্ত দেশ। খাওরা আগে ও পরে, রাস্তায় বেরিয়ে ও বাড়ি ফিরে সর্বদাই হাত ধোয়ার একটা ত্রাহি ত্রাহি রব। এই সময়ে নিজের মোবাইল ফোন ল্যাপটপ সহ সমস্ত গেজেটকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তাই দেশ জুড়ে গীষ্মের ছুটির আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ সরকারি দপ্তর। ব্যাংকগুলিও নিজেদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের(Work from home) নির্দেশ দিয়েছেন। তবে বাকি পড়ে থাকছে ব্যাংকের এটিএমগুলি। এটিএমের মেশিনে হাত দিয়ে যারা ব্যবহার করছেন তারা সকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করছেন কিনা জানা সম্ভব নয়। শহরের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি এটিএমে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে টাকা তুলতে গিয়ে প্রথমে হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তবে শহরের সিংহভাগ এটিএমগুলি পড়ে রয়েছে অনাদরে, অযত্নে। এমতাবস্থায় অনেকেই ভরসা রাখছেন ডিজিটাল লেনদেনে। বড় কোনও শপিং মলে বা দোকানে কেনাকাটা করতে গেলে বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যেই লেনদেন করলে করোনার আশঙ্কা থেকে কিছুটা মুক্তি মিলছে। তবে প্রশ্ন হল খোলা বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে বা পালং শাক কিনতে গিয়ে কীভাবে আপনি ডিজিটাল লেনদেন করবেন? সেখানে প্রয়োজন নগদ টাকা।
বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা শিকার করে নেন যে সমস্ত এটিএম—এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়নি। তাঁদের যুক্তি, যেহেতু অনেক জায়গায় সিকিউরিটি গার্ড নেই, তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকটি নিরাপত্তারক্ষীহীন এটিএমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে চুরি হয়ে গিয়েছে। তাই সে সব জায়গায় দ্বিতীয়বার আর দেওয়া হয়নি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই নিন।ব্যাগে রাখুন হ্যান্ড টাইজার। এটিএম থেকে বেরিয়ে তা হাতে মেখে নিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.