সোম রায়, নয়াদিল্লি: লোধি কলোনির ইন্দিরা পর্যবরন ভবনে সকাল থেকে সাজগোজ চলছিল। আজ, দপ্তরের দায়িত্ব নিতে আসবেন নতুন দুই মন্ত্রী। প্রথমে কথা ছিল সোমবার দায়িত্ব নেবেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ঠিক করেন দেরি করবেন না। সেইমতো শনিবারই বাবুল দায়িত্ব নিতে আসেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিবেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল নিজের রাজ্যের কথা বেশি গুরুত্ব দিয়ে বললেন। জানালেন, “গত কয়েক বছরে দিল্লির সঙ্গে কলকাতার বায়ুমণ্ডলেও দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছে। গাড়ির সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই গাছ কমেছে। কলকাতার পরিবেশে অক্সিজেন বাড়ানোর জন্য একগুচ্ছ আলাদা পরিকল্পনা নিতে হবে। গোটা বিশ্বের উষ্ণায়ণের বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। আমরাও এবার বাংলার পরিবেশ উন্নয়নে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব।”
[আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিষবিদ্যা বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে’, সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন মোদি সরকারের নয়া মন্ত্রী]
বাংলার বনভূমি সংরক্ষণেও কেন্দ্রীয় সরকার যে বাড়তি উদ্যোগ নেবে তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের নয়া প্রতিমন্ত্রী। বাবুল সুপ্রিয়র দপ্তরে পৌঁছে দেখি, আর এক চমক। আদ্যন্ত মোহনবাগানি বাবুলের সাফল্যের শরিক হতে লাল-হলুদ গোলাপের স্তবক নিয়ে কলকাতা থেকে এসেছেন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র টিমের প্রাক্তন ম্যানেজার সুশান্ত দাসও। শুভানুধ্যায়ীর ভিড় অবশ্য ছিল। আসানসোল থেকে আসা অন্তত ৫০ জন দলীয় সমর্থক সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পর এলেন বাবুল। তারও কিছু পরে এলেন প্রকাশ জাভরেকর। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ পর্ব মিটতে মন্ত্রীর ঘরেই ডেকে নেওয়া হল মন্ত্রকের আধিকারিকদের। পরে ছ’তলায় নিজের ঘরে এলেন বাবুল। প্রত্যেক আধিকারিকের সঙ্গে আলাদা করে পরিচয় সেরে ডাকলেন আসানসোল থেকে আসা দলীয় কর্মীদের। তখন আর তিনি মন্ত্রী নন। একেবারে কাছের লোক। যেন মনে করিয়ে দিলেন নিজের বিখ্যাত গান ‘চায়ের দোকানে আড্ডা সকাল সন্ধে’র কথা। আর তখনই ‘ঘটি’ বাবুলের হাতে লাল-হলুদ গোলাপ তুলে দিলেন ‘বাঙাল’ সুশান্ত। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নিজের দপ্তরের বাইরে গিয়ে ইস্ট-মোহনের জন্য কিছু করার অনুরোধও রাখলেন ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র দলের প্রাক্তন ম্যানেজার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.