সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও অব্যাহত করোনার (COVID-19) চোখ রাঙানি। আর তারই মধ্যে দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গুর মতো জ্বর। সেই জ্বরে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সর্বাধিক। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই তাঁদের মৃত্যু কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে ডেঙ্গুর কারণেই জ্বরে (dengue-like fever) ভুগছেন রোগীরা। আর তা থেকেই মৃত্যু। ফিরোজাবাদের বিজেপি বিধায়ক মণীশ আসিজা ৩১ আগস্ট অর্থাৎ গতকাল থেকে বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন। তিনিই জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই জ্বর আসছে রোগীদের বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “৩০ আগস্ট এর জেরে তিনজন মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রাণ হারান দু’জন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ৪৪-এ।” পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসার জন্য ২৫টি শিবির তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত সোমবার ফিরোজাবাদের রোগীদের সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানান, ডেঙ্গুর কারণেই রোগীদের প্রাণ যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ দলকে। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৩২টি শিশু এবং সাতজন প্রাপ্ত বয়স্কর মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণেই মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
#UPCM श्री @myogiadityanath जी ने आज जनपद फिरोजाबाद में राजकीय चिकित्सा महाविद्यालय का निरीक्षण किया।
मुख्यमंत्री जी ने इस दौरान मरीजों से मिलकर उनका हाल-चाल जाना व अधिकारियों को बेहतर चिकित्सकीय सुविधाएं उपलब्ध कराने हेतु निर्देशित किया। pic.twitter.com/OOap8z22o8
— CM Office, GoUP (@CMOfficeUP) August 30, 2021
ফিরোজাবাদে ডেঙ্গুর মতো জ্বরে মৃত্যুর প্রথম খবর আসে গত ১৮ আগস্ট। যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে যে কারণে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মথুরার একটি গ্রামে অজানা জ্বরে ৬ জনের প্রাণ হারানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সেক্ষেত্রেও রোগীদের শরীরে ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ফিরোজাবাদের পরিস্থিতি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.