সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেনজির বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিজামের শহর। গত কয়েকদিন ধরে তেলেঙ্গানার অন্য এলাকাগুলিতেও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কিন্তু, হায়দরাবাদ (Hyderabad) -এর মতো পরিস্থিতি অন্য কোথাও হয়নি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। শনিবার রাত থেকে ফের শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে শহরের বেশিরভাগ এলাকাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর ফলে বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ হয়েছে যান চলাচল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত ভিডিওতে হায়দরাবাদের বন্যা পরিস্থিতি দেখে চমকে উঠছেন সবাই। এর মাঝেই আবহাওয়া দপ্তর থেকে আগামী চার দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ফলে আরও বাড়ছে আতঙ্ক।
#WATCH: Heavy rainfall in Hyderabad triggers water logging in parts of the city; visuals from Chandrayangutta area. #Telanagana (17.10) pic.twitter.com/awqPQEWmeN
— ANI (@ANI) October 18, 2020
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রেকর্ড সৃষ্টিকারী ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল হায়দরাবাদের বেশিরভাগ জায়গায়। এরপর বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও শনিবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ফের ১৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে অনেক জায়গায়। এর ফলে ওই জায়গাগুলিতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোনও কোনও রাস্তার উপর ২ ফুট পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। ফলে বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গত ১০০ বছরে এই পরিস্থিতি হয়নি বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এপ্রসঙ্গে গ্রেটার হায়দরাবাদ পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বওয়াজিত কামপথী টুইট করেন, জিএইচএমসি (GHMC) -এর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সদস্যরা গোটা শহর ঘুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। বৃষ্টি না থামার কারণে তাঁদের কাজ করতে সমস্যা হলেও সবরকম চেষ্টা চলছে। কিছু জায়গায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সদস্য ও সেনাকর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গত মানুষদের সাহায্য করার জন্য তাঁদের বাড়িতে একমাসের রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কে টি রামা রাও। ২৮০০ টাকা মূল্যের কিটে এক মাসের খাদ্যপণ্য ছাড়াও তিনটি কম্বল দেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.